এক নজরে

বাংলাদেশের সোনাদিয়া বন্দর প্রকল্পে বাদ পড়লো চিন

By admin

October 16, 2020

সোনাদিয়া বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার উপকূলের প্রায় ৯ বর্গকিলোমিটার দূরের একটি ছোট দ্বীপ। যা খবরে আসে কারণ বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত এই দ্বীপে গভীর সমুদ্র বন্দর গড়ে তোলার চিনের প্রস্তাব বাতিল করে। এই ধারণাটি ২০০৬ এ বাংলাদেশ সরকারকে দেওয়া হয় যার আনুমানিক খরচ ১৪ বিলিন মার্কিন ডলার। চিন এই বন্দর তৈরি ও আর্থিক সাহায্যে রাজি ছিল। এই প্রকল্পকে ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোডের সাথে যুক্ত করার ছিল চিনের প্রধান উদ্দেশ্য।

প্রকল্পে বাংলাদেশের লাভ

অন্যান্য ঊন্নত দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য দরকার পণ্য সরবারহের ব্যবস্থা যার অন্যতম গভীর দ্বীপ সম্পন্ন বন্দরের। ১৮৮৭ সালের তৈরি চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরোনো এবং ব্যাস্ততম বন্দর যার একার পক্ষে এই দায়িত্ব নেওয়া সম্ভব নয়। তাই এই প্রকল্পে সম্মতি ছিল ঢাকার।

বাংলাদেশ এই ব্যাপারে আলোচনা শুরু করে।আন্তর্জাতিক অর্থনীতিবিদদের অনুমান ছিল, ২০১৪ সালের জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জিনপিং এর সাক্ষাতে এই চুক্তি সাক্ষর হবে কিন্তু তা হয়নি। যার অন্যতম কারণ ছিল দিল্লির এই প্রকল্পে অসহমত। কারণ এর আগেও ভারত শ্রীলঙ্কাকে হাম্বানটোটা বন্দর প্রকল্পে চিনের বিনিয়োগ না নেওয়ার পরামর্শ দেয় যার ফলে চিন ওই বন্দর অধিগ্রহণ করে। এছাড়া বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদ রা ১৪ বিলিয়ন ডলারের দেনা বেশি সুদের হারে নেওয়াতে অসম্মত ছিলেন।

আন্তর্জাতিক রাজনীতিবিদের মতে, এই সিদ্ধান্ত ভারতের কূটনৈতিক জয় বলে ধরা হচ্ছে। এই দ্বীপটি ভূ-কৌশলগতভাবে তাৎপর্যপূর্ণ এবং চিন দ্বারা সোনাদিয়া গভীর সমুদ্র বন্দরের বিকাশ ভারতের সমুদ্র উপকূলরেখার নিকটবর্তী হওয়ার কারণে ভারতের সামুদ্রিক স্বার্থের জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

বাংলাদেশ চাইনিজ প্রস্তাব বাতিল করার পরিবর্তে, দিল্লি চট্টগ্রামের নিকটে অবস্থিত পায়রা বাংলাদেশের সর্বাধিক গভীর সমুদ্র বন্দর গড়ে তুলতে তার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এই উন্নয়ন ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের উন্নতির ইঙ্গিত।