কলকাতা ব্যুরো: বিজেপি যুব মোর্চার নবান্ন অভিযানের দিন পিস্তল নিয়ে ধৃত বলবিন্দর সিংকে মুক্তি দিতে সম্মত হলো রাজ্য। তাঁর বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগগুলিও প্রত্যাহার করে নিচ্ছে রাজ্য। এর ফলে গ্রেপ্তারের নয় দিন বাদে সুবিচার পেলেন ওই পরিবার।

নবান্ন অভিযানের দিন কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন বলবিন্দর। তাঁর বিরুদ্ধে রাজ্যের অভিযোগ ছিলো, পিস্তল নিয়ে তিনি মিছিলে সামিল হযেছিলেন। জম্মু ও কাশ্মীরের বাসিন্দা শিখ ধর্মাবলম্বী ওই ব্যক্তিকে সেদিন পুলিশ চরম হেনস্থা করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। যা নিয়ে শুধুমাত্র রাজনৈতিক মহলেই নয়,সমালোচনায় মুখর হয় শিখ সংগঠনগুলোও। আদতে ধৃত বলবিন্দর প্রাক্তন সেনা কর্মী, বর্তমানে বেসরকারি নিয়াপত্তা কর্মী। তার সঙ্গে ছিলো তার লাইসেন্স প্রাপ্ত পিস্তলটিই।

বলবিন্দরকে মুক্তির দাবিতে আওয়াজ ওঠে নানা মহল থেকেই।এই বিষয়ে তিন দিন আগেই কলকাতায় উপস্থিত হন তার স্ত্রী করনজিত কাউর। দিল্লির শিখ গুরুদ্বার ম্যানেজমেন্ট কমিটির প্রেসিডেন্ট মনিন্দার সিং সিরসাও কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করতে উপস্থিত হয়েছিলেন কলকাতায়। কিন্তু গত তিন দিন ধরে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে আলোচনা করে জট খোলে। বলবিন্দর সিংকে মুক্তি দিতে সম্মত হয় রাজ্য। তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলিও প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য। রাজ্যের এই সিদ্ধান্তে রাজ্য পুলিশের ডিজিপি এবং রাজ্য প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান তাঁরা।

প্রকাশ্য রাজপথে বলবিন্দর সিংয়ের পাগড়ি খোলায় তার মৌলিক অধিকার রাজ্য পুলিশ হরণ করেছে এই অভিযোগে শুক্রবারে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছে তার পরিবার। ওই পাগড়ি খোলার ঘটনায় শিখ সম্প্রদায়কে অসম্মান করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়। তাই হাইকোর্টকে সিট গঠন করে এ ব্যাপারে তদন্তের আবেদন করা হয়। আদালত সোমবার মামলাটি শুনানির জন্য রেখেছিল। কিন্তু এদিন রাতেই রাজ্য সরকার বলবিন্দরকে সব অভিযোগ থেকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় নির্দিষ্ট ভাবে ওই মামলার ভবিষ্যৎ কি হবে সে ব্যাপারে সংশয় তৈরি হয়েছে।।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version