কলকাতা ব্যুরো: রাতের অন্ধকারেই পাহাড়ের বুক চিরে যাচ্ছিল যাত্রীবাহী বাসটি। চালকের হিসাবে সামান্য ভুল হতেই নদীতে পড়ে গেল বাস। মেঘালয়ের তুরা থেকে শিলংগামী ওই বাসে কমপক্ষে ২১ জন যাত্রী ছিল বলেই জানা গিয়েছে। এখনও অবধি ৬ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে বাসের চালকেরও। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে উদ্ধারকারী দল। নদীতেও যাত্রীদের দেহের খোঁজ চালানো হচ্ছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাত ১০টা নাগাদ ওই বাসটি মেঘালয়ের তুরা থেকে শিলংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। রাত ১২টা নাগাদ নোঙ্গচ্রামের উপর দিয়ে যাওয়ার সময়ই পাহাড়ের বাঁক নিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারায় বাসটি। সোজা নিচের রিঙ্গডি নদীতে পড়ে যায়। তবে বৃষ্টির জেরে দুর্ঘটনাটি হয়েছে নাকি চালকের অসচেতনতায়, তা এখনও জানা যায়নি।

দুর্ঘটনার সময়ে ওই বাসে কমপক্ষে ২১ জন যাত্রী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এদের মধ্যে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাসের ভিতরেই দুটি মৃতদেহ পড়েছিল, এদের মধ্যে বাস চালকও ছিলেন। বাকি চারটি দেহ নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আহত অবস্থায় ১৬ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং তাদের একটি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লোকালয় থেকে বেশ কিছুটা দূরে দুর্ঘটনাটি ঘটায় প্রথমে জানা যায়নি। পরে যাত্রীদের আর্তনাদ শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে যান। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। কিছুক্ষণের মধ্যেই উদ্ধারকারী দল সহ দুর্ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় পুলিশ। দড়ি বেঁধে নামানো হয় উদ্ধারকারী দলকে।

বাসের ভিতরে কয়েকজন যাত্রী আটকে থাকলেও অধিকাংশই জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। নদী থেকে ৪টি মৃতদেহও উদ্ধার করা হয়। রাতভর তল্লাশি অভিযান চলার পর সকালে কিছু সময় পরই ফের তল্লাশি অভিযান শুরু করা হয়েছে। নদীর পাড়ের বসবাসকারীদেরও নজর রাখতে বলা হয়েছে। বাসে মোট কতজন যাত্রী ছিল, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিতভাবে কিছু জানতে না পারায়, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version