কলকাতা ব্যুরো: আমেরিকায় কমপক্ষে ৪৫ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হল ট্রাকের ভিতর থেকে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১৬ জন। জানা গিয়েছে, রেল লাইনের ধারে দাঁড় করানো ছিল ট্রাকটি। অনুমান করা হচ্ছে, শরণার্থীদের নিয়ে টেক্সাসে এসেছিল ট্রাক। তবে কী করে এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটল, সেই নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ স্থানীয় পুলিশ।
সোমবার ওই ট্রাক থেকে মৃতদেহগুলি উদ্ধার করা হয়েছে। টেক্সাস শহর থেকে বেশ কিছুটা দূরে রেললাইনের পাশে দাঁড় করানো ছিল ট্রাকটি। মেক্সিকোর দমকল বিভাগের তরফে এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, অত্যন্ত গরমের ফলেই মৃত্যু হয়েছে ৪৬ জনের। আমেরিকা-মেক্সিকো সীমান্তে মানুষ পাচারের ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে।
অনুমান করা হচ্ছে, মৃতদেরকেও পাচার করার উদ্দেশ্যেই ট্রাকে তোলা হয়েছিল। অন্য মহলের তরফে জানা যাচ্ছে, মৃত ব্যক্তিরা শরণার্থী হিসাবেই আমেরিকায় আশ্রয় নিতে চেয়েছিল। সেই কারণেই ট্রাকে উঠছিল তারা।
মৃতরা সকলেই প্রাপ্তবয়স্ক বলে জানিয়েছে সান অ্যান্টোনিওর দমকল বিভাগ। চার শিশু-সহ ১৬ জনকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সকাল ছ’টা নাগাদ একজন স্থানীয় মানুষ আর্তনাদ শুনতে পান। তারপরেই ট্রাকটি দেখতে পান তিনি। ভিতরে ঢুকে বেশ কয়েকটি মৃতদেহ দেখতে পান। দেহে আঘাতের চিহ্ন ছিল বলেই জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু পুলিশের তরফ থেকে এই ধরণের তথ্য অস্বীকার করা হয়েছে।
এমন ভয়াবহ ঘটনার পরে তিনজনকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিয়েছে মেক্সিকো সরকার। সেই দেশের বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, অত্যন্ত ট্রাজিক ঘটনা এটি। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলের দিকে রওয়ানা দিয়েছে মেক্সিকোর একটি প্রতিনিধি দল। তবে মৃতরা আদৌ মেক্সিকোর নাগরিক কিনা, তা নিয়ে এখনও সন্দেহ রয়েছে।বেশ কিছুদিন ধরেই ঘটনাস্থল সান অ্যান্টোনিওতে প্রবল গরম পড়েছে। প্রায় চল্লিশ ডিগ্রি ছুঁয়েছে তাপমাত্রা। প্রসঙ্গত, গত কয়েকমাসে রেকর্ড সংখ্যক শরণার্থী মেক্সিকো-আমেরিকা সীমান্ত পেরিয়ে মার্কিন মুলুকে প্রবেশ করেছে।