কলকাতা ব্যুরো: ফের করাচিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। শনিবার করাচির শেরশাহ অঞ্চলের পরাঞ্চা চকে এই বিস্ফোরণটি ঘটে। জানা গিয়েছে, একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের নীচ দিয়ে যাওয়া একটি নালাতে বিস্ফোরণটি ঘটে। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ১৪ জনের। আহত হয়েছেন আরও ১৩ জন। করাচি পুলিশের SHO শো জাফার আলি শাহ বলেন, বেসরকারি ওই ব্যাঙ্কটির নীচে একটি নালা রয়েছে। সেটি সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। আগেই ব্যাঙ্কটি খালি করে দেওয়ার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। পাশে থাকা একটি পেট্রল পাম্পও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পুলিশের তরফে আরও জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই বিস্ফোরণ স্থল ঘুরে দেখেছে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ দল। বম্ব স্কোয়াডও পর্যবেক্ষণ করেছে এলাকা। তাদের থেকে রিপোর্ট পেলে বিস্ফোরণের আসল কারণ জানা যাবে। যদিও প্রাথমিক তদন্তে তাদের অনুমান গ্যাল লিক করেই এই বিস্ফোরণটি ঘটে। বিল্ডিংয়ের নীচে নালায় জমে থাকা জঞ্জালের জেরে সেটি আরও তীব্র আকার ধারণ করে। ঘটনার পেছনে নাশকতার কোনও ছক নেই বলেই জানিয়েছে করাচি পুলিশ।
ইতিমধ্যেই ঘটনার একটি ফুটেজ ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে ধরা পড়েছে বিস্ফোরণের পর ক্ষতিগ্রস্ত বিল্ডিংয়ের অবস্থা। একাধিক গাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিস্ফোরণের জেরে। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে সেই ছবিও। ধ্বংসস্তূপের নীচে একাধিক ব্যক্তির আটকে পড়ার খবরও মিলেছিল। দমকল ও প্রশাসনের তৎপরতায় তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে। গুরুতর আহতদের চিকিৎসা চলছে নিকটবর্তী হাসপাতালে।
কিছুদিন আগেই ঢাকা শহরে এমনই ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। পুরনো ঢাকার নাজিরা বাজারে বিস্ফোরণের জেরে ধসে পড়ে পাঁচতলা ভবনের দেওয়াল। মধ্যরাতে আচমকাই বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে ওই এলাকা। নাজিরা বাজার এলাকার একটি পাঁচতলা ভবনের নীচের তলায় এই বিস্ফোরণটি হয় বলে খবর। এরপরই সেটির একাংশ ধসে পড়ে। ঘটনার জেরে ভেতরে বেশ কিছু মানুষ আটকে পড়েছিলেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ১০টি দমকলের ইঞ্জিন। দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা দলের তৎপরতায় তাঁদের নিরাপদে বের করে আনা হয়েছে। আহতদের চিকিৎসা চলছে। সূত্রের খবর, নাজিরা বাজারের ওই পাঁচতলা ভবনের নীচুতলা ধসে পড়ার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিল্ডিংটি। বেশ কিছু হেলে পড়েছে সেটি। ফলে পুনরায় ধসে পড়ার আশঙ্কা দেখা গিয়েছে। পুরনো ঢাকা শহরে এমন বিস্ফোরণে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে বাসিন্দাদের মধ্যে।