কলকাতা ব্যুরো: নিম্নচাপের জেরে হওয়া বৃষ্টিতে জলমগ্ন গোটা কলকাতা এবং তার সংলগ্ন অঞ্চল। বুধবার দুপুরের পর থেকে বৃষ্টি কমে গেলও এখনও জলমগ্ন হয়ে রয়েছে কলকাতার অধিকাংশ এলাকা। আর তারই মধ্যেই বৃহস্পতিবার ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। যেখানে প্রার্থী খোদ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু, সেই কেন্দ্রের অলিতে গলিতে জমে রয়েছে হাঁটু সমান জল। আর এই জমা জলের মধ্যেই আগামীকাল নির্বাচন। তবে প্রশ্ন উঠছে তবে কি জমা জলেই ভোটের লাইনে দাঁড়াতে হবে ভোটারদের? যদিও, কলকাতা পুরনিগমের মুখ্য প্রশাসকের দাবি, বুধবার মাঝরাতের মধ্যে ভবানীপুর সহ পুরো কলকাতার জল নেমে যাবে।

এদিন কলকাতা পুরনিগম থেকে ফিরহাদ জানান, আজ মধ্য রাতের মধ্যে ভবানীপুর সহ গোটা কলকাতা শহরের সব জায়গা থেকে জল নেমে যাবে। ভবানীপুর বিধানসভার খিদিরপুর এলাকা বাদ দিয়ে প্রায় সব জায়গায় জল ইতিমধ্যেই নেমে গেছে। খিদিরপুরের জল অনেকটা নেমেছে। আশা করা যাচ্ছে ভাটা শুরু হলে, আজ রাত ১২ টার মধ্যে পুরো জল নেমে যাবে। ফিরহাদ এও বলেন, খোদ মুখ্যমন্ত্রী তাঁরে নির্দেশ দিয়েছেন ভোটাররা যাতে নিশ্চিন্তে ভোট দিতে পারেন তার ব্যবস্থা করতে।

তবে, রাস্তার জমা জল নামানোর ক্ষেত্রে পৌরনিগমের মুখ্য প্রশাসকের এই তৎপরতা পিছনে আরও একটি কারণ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের তরফে কলকাতার পুর কমিশনার বিনোদ কুমারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ভোট কেন্দ্রগুলির বাইরে যাতে জল জমে না থাকে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। আর সেই নির্দেশিকা আসার পরই কলকাতা পৌরনিগমের জল নামানোর তৎপরতা আরও বেড়ে যায়। ফলস্বরূপ বুধবার দুপুরের পর শহরের বেশ কিছু এলাকার জল নিমেষের মধ্যে গায়েব হয়ে যায়।

তবে, এই জল নামানোর তৎপরতা অন্য সময় কেন দেখা যায় না? ইতিমধ্যেই সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। তবে, কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবানীপুর থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছেন এবং তাঁর জয় তৃণমূল পরিচালিত সরকারের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ? সেই কারণেই প্রশাসনের এই তৎপরতা? অভিযোগ উঠেছে, অন্যসময় শহরের জমা জল নামাতে এত তৎপরতা কেন দেখায় না? তবে, কি শুধুই শাসকদলের স্বার্থ রক্ষার্থেই প্রশাসন তৎপর? এমন একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version