কলকাতা ব্যুরো: দেশের মানুষের কথাই তিনি ভেবেছেন। তাই রক্তপাত যাতে না হয়, সেকারণে দেশ ছেড়েছেন তিনি। দেশ ছাড়ার পর এমনই বার্তা দিলেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। উল্লেখ্য, রবিবার তালিবানরা প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসের দিকে এগিয়ে আসতেই দেশ ছাড়েন আশরাফ ঘানি। বর্তমানে, তিনি তাজিকিস্তানে রয়েছেন।
আফগানিস্তানের আকাশে এখন শুধু তালিবান আতঙ্ক। কয়েকদিন ধরে একটি একটি করে শহর নিজেদের দখলে নিচ্ছিল তালিবানরা। রবিবার কাবুল দখল করে। যা স্পষ্ট করে দিয়েছে, দুই দশক পর ফের আফগানিস্তানে রাজ করতে চলেছে তালিবানরা । ইতিমধ্যেই অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে ‘শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর’ করা হচ্ছে বলে খবর। এসবের মধ্যে গতকালই দেশত্যাগ করেছেন প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। যা নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে । প্রশ্ন উঠছে, দেশের এই কঠিন সময়ে প্রেসিডেন্ট ঘানি পালিয়ে গেলেন কীভাবে ?
আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিসমিল্লা রহমদ্দি টুইটারে এই বিষয়ে নিন্দা করে লিখেছেন, “আমাদের হাত পিছনে বেঁধে দিয়ে দেশটা বিক্রি করে পালিয়েছেন ।” এই কাজের জন্য তিনি ঘানি ও তাঁর দলবলদের ধিক্কার জানিয়েছেন।
এদিকে, দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর ঘানি তাজিকিস্তানে পৌঁছেছেন বলে শোনা যাচ্ছে। দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার কারণ নিয়ে সম্প্রতি তিনি একটি বিবৃতিও দিয়েছেন। যেখানে তিনি জানাচ্ছেন, রক্তপাত এড়ানোর জন্য তিনি দেশ ছেড়েছেন । তাঁর কাছে কঠিন দুটো অপশন ছিল। এক, সশস্ত্র তালিবান। যাদের সঙ্গে যুদ্ধ করলে বহু মানুষ মারা যেতে পারেন। দুই, দেশকে ছেড়ে চলে যাওয়া । তাই রক্তপাত এড়াতে তিনি দ্বিতীয় শর্তটি বেছে নেন।
তবে আশরাফ ঘানি জানিয়ে দিয়েছেন, তালিবানরা অস্ত্রসস্ত্র, গোলা-গুলি দিয়ে জিতলেও, কোনও দিন আফগানিস্তানবাসীর মন জয় করতে পারবে না । তিনি আরও বলেন, যদি এদের নিয়ন্ত্রণ না করা হয়, অগণিত দেশপ্রেমিক শহিদ হবে এবং কাবুল শহর ধ্বংস হয়ে যাবে । ফলে একটি বড় মানবিক বিপর্যয় দেখা দেবে।”
অন্যদিকে, আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে আজ বৈঠক করবে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।