কলকাতা ব্যুরো: শেষমেশ হাজিরা দিলেন তিনি। শুক্রবার ডিআইজিকে অপেক্ষায় রাখলেও শনিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনির ছেলে আশিস মিশ্র লখিমপুরের ক্রাইম ব্রাঞ্চে আসেন। লখিমপুর কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে শুক্রবার ফের পুলিশ সমন পাঠিয়েছিল তাঁকে ৷ তবে পুলিশ আধিকারিকেরা আশিস মিশ্রকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি ৷ রাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলের পুলিশের কাছে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল শুক্রবার সকাল ১০টায় ৷ কিন্তু তিনি আসেননি ৷ এরপর উত্তরপ্রদেশ পুলিশ শনিবার সকাল ১১ টায় আসার কথা জানিয়ে ফের সমনের নোটিস পাঠায় অভিযুক্ত আশিস মিশ্রকে ৷
এদিকে বৃহস্পতিবার লখিমপুর কাণ্ডে ২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ সুপ্রিম কোর্টে দেশের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানার নেতৃত্বে ৩ সদস্যের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি শুরু হয় ৷ প্রধান বিচারপতি সরকারকে জিজ্ঞাসা করেন এই ঘটনায় কতজন অভিযুক্ত এবং তাদের মধ্যে কাকে কাকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ সরকারের তরফে আইনজীবী এবিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানাতে আদালতের কাছে একদিন সময় চেয়ে নেন ৷ এরপর উত্তরপ্রদেশ পুলিশ শুক্রবার হাজিরার কথা জানিয়ে আশিস মিশ্র ও মন্ত্রী অজয় মিশ্রের বাড়ির দরজায় সমনের নোটিস সেঁটে দিয়ে আসে ৷
রবিবার ৩ অক্টোবর, ৪ জন বিক্ষোভরত কৃষকদের উপর দিয়ে এসইউভি চালিয়ে পিষে মারা হয়। অভিযোগ, কৃষকদের পিষে মারা গাড়িগুলির মধ্যে একটিতে ছিলেন আশিস মিশ্র। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুনের অভিযোগে এফআইআর দায়ের করা হলেও তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি ৷ এই ঘটনায় ওই দিন মোট ৮ জন মারা গিয়েছেন ৷
বিক্ষুব্ধ কৃষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা ৪ জন কৃষকের মৃত্যুর পর ২ জন বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে মারেন, একজন গাড়িচালক মারা যান এবং ওই সময়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের এক রিপোর্টারও প্রাণ হারান ৷ এই ঘটনায় ক্রমশ উত্তাল হয়ে উঠেছে দেশের রাজনীতি ৷
অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার ইতিমধ্যেই একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির অধীনে এক সদস্যের একটি তদন্ত কমিশন গড়েছে। অন্যদিকে ডিআইজি উপেন্দ্র আগরওয়ালের নেতৃত্বে ৯ জন সদস্যের একটি তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে। শুক্রবারও সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, সর্বোচ্চ আদালত যোগী সরকারের পদক্ষেপে সন্তুষ্ট নয়।