কলকাতা ব্যুরো: মাদক কাণ্ডে নাম জড়ানোর পর থেকেই বদলে গিয়েছে জীবন। এক প্রকার উধাও হয়েছে খুশি-আনন্দ। সেই কারনেই এ বারের জন্মদিনও এনসিবি-এর দফতরেই কাটলো শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খানের।
জামিনের শর্ত পূরণে প্রতি সপ্তাহেই এনসিবি দফতরে হাজিরা দিতে হচ্ছে আরিয়ান খানকে। শুক্রবার তাঁর জন্মদিন থাকলেও আদালতের নির্দেশ মতোই এনসিবি দফতরে গিয়ে সাক্ষর করে এলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, মুম্বইয়ে প্রমোদতরী থেকে মাদক উদ্ধারের ঘটনায় এনসিবির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন আরিয়ান খান। ২৮ দিন হাজতবাস করে জামিনে বাড়ি ফিরেছিলেন আরিয়ান খান। তবে বম্বে হাই কোর্টের তরফে দেওয়া ওই জামিনের অন্যতম শর্ত ছিল বিশেষ আদালতের অনুমতি ছাড়া দেশ ছেড়ে যেতে পারবেন না আরিয়ান খান, আরবাজ মার্চেন্ট ও মুনমুন ধামেচা। এছাড়া এনডিপিএস আদালতে তাদের পাসপোর্ট জমা ও প্রতি শুক্রবার তাদের সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টোর মধ্যে এসে হাজিরা দিতে হবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালতের সেই নির্দেশ মতোই গত সপ্তাহের মতো এই শুক্রবারও আরিয়ান সহ বাকিরা এনসিবি অফিসে আসেন এবং হাজিরা খাতায় সই করে যান।
এ দিন জন্মদিন থাকলেও সকালেই এনসিবির দফতরে পৌঁছে যান আরিয়ান। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর হাজিরার খাতায় সই করে ফের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। মাদককাণ্ডে জামিন পাওয়ার পর থেকেই যাবতীয় লাইমলাইট এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছেন আরিয়ান।
জামিনের শর্ত পূরণে প্রতি সপ্তাহে এনসিবির দফতরে হাজিরা দিলেও, জামিনের অপর শর্ত পূরণ এখনও করেননি আরিয়ান। আদালকের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, মাদককাণ্ডের তদন্তে আরিয়ান সহ বাকি অভিযুক্তরা যেন পূর্ণ সহযোগিতা করে।
সম্প্রতিই এনসিবির জ়োনাল অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ের হাত থেকে তদন্তভার এনসিবির দিল্লি শাখার হাতে তুলে দেওয়া হয়। এরপরই আরিয়ান খান, আরবাজ মার্চেন্ট ও অচিত কুমারকে এনসিবির বিশেষ তদন্তকারী দলের তরফে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমন জারি করা হয়। আরবাজ ও অচিত কুমার হাজিরা দিলেও আরিয়ান খান সেই সমন এড়িয়ে যান। অনুপস্থিতির কারণ হিসাবে তিনি জানান, জ্বর আসায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যেতে পারেননি তিনি। সূত্রের খবর, ওই দিন আরবাজ মার্চেন্ট ও অচিত কুমারকে টানা নয় ঘণ্টা ধরে জেরা করেন এনসিবির আধিকারিকরা।