কলকাতা ব্যুরো: আবারও খারিজ হয়ে গেলো আরিয়ান খানের জামিনের আবেদন। অতএব জেলেই থাকতে হবে শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খানকে। তবে শুধু আরিয়ান নয়, বুধবার আরবাজ মার্চেন্ট ও মুনমুন ধামেচার জামিনের আবেদন খারিজ করে মুম্বইয়ের আদালত।
গত ৩ অক্টোবর মাদক মামলায় গ্রেফতার করা হয় আরিয়ান খান সহ আরও সাতজনকে। ইতিমধ্যেই ১৮ দিন জেলে কাটিয়েছেন আরিয়ান। বর্তমানে আর্থার রোডের জেলে রাখা হয়েছে তাঁকে। বুধবার অরিয়ানের জামিনের আবেদন করেছিলেন আইনজীবী অমিত দেশাই।
শাহরুখ পুত্র আরিয়ান এখন মন্নতের হাই প্রোফাইল জীবন ছেড়ে রাত কাটাচ্ছেন মুম্বইয়ের আর্থার রোড জেলে। সেখানে তাঁর পরিচয় আরিয়ান খান নয়। সেখানে তিনি বিচারাধীন বন্দী নম্বর এন৯৫৬।
বুধবার, ২০ অক্টোবর ফের আরিয়ান মামলার শুনানি হয় আদালতে। তার আগে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর তরফে আরিয়ানের একটি হোয়াটস্অ্যাপ চ্যাট আদালতে পেশ করা হয়েছে। যেখানে মুম্বইয়ের ক্রুজ পার্টিতে যোগ দেওয়ার আগে তিনি মাদক নিয়ে আলোচনা করছিলেন, তার প্রমাণ রয়েছে।
সূত্রের খবর, বলিউডের এক উঠতি অভিনেত্রীর সঙ্গে সে দিন হোয়াটস্অ্যাপে আরিয়ান মাদক নিয়ে আলোচনা করেছিলেন, তার প্রমাণ রয়েছে। শুধু তাই নয়, আরিয়ান বিদেশে এমন কয়েকজনের সঙ্গে নাকি যোগাযোগ রাখতেন যাঁরা আন্তর্জাতিক মাদক চক্রের সঙ্গে যুক্ত। তাঁদের সঙ্গেও হোয়াটস্অ্যাপে কথোপকথন প্রমাণ হিসেবে আদালতে পেশ করেছে এনসিবি। ফলে আরিয়ানের জামিন পাওয়া আরও কঠিন হয়ে গেল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর তদন্তে মূল অভিযুক্ত আরিয়ান খান। তদন্তকারী আধিকারিকদের অভিযোগ, শাহরুখ পুত্র মাদকদ্রব্য গ্রহণ করেছিলেন এবং মাদকদ্রব্যের অবৈধ কারবারের জন্য বিদেশে এমন কিছু ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল যারা আন্তর্জাতিক ড্রাগ নেটওয়ার্কের অংশ বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, কর্ডেলিয়া প্রমোদ তরণীতে মাদক কাণ্ডে শাহরুখ তনয়ের গ্রেফতারির পর থেকে আলাদা মাত্রা পেয়েছে মামলাটি। বলিউড তারকা থেকে শুরু করে রাজনীতিকরা, অনেকই শাহরুখের পাশে দাঁড়াচ্ছেন।