কলকাতা ব্যুরো: তার রাজ্যের শেষ সীমানায় থাকা মানুষ যাতে সরকারি পরিষেবার সুফল পান, তা নিশ্চিত করতে প্রায় নজিরবিহীন কান্ড করে ফেললেন অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী প্রেমা খান্দু।

চিনের স্ব-শাসিত তিব্বত অঞ্চলের গায়ে লেগে থাকা অরুণাচলের তাওয়াং জেলার মুক্ত এলাকায় বাস ১০টি পরিবারের ৫৮ জন বাসিন্দার। তাদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী ১১ ঘণ্টা য় ২৪ কিলোমিটার রাস্তা পেরিয়ে গেলেন। ১৪৫০০ ফুট উপরে গ্রামে পৌঁছে মুখ্যমন্ত্রী তাদের সঙ্গে দু’রাত কাটিয়ে কথা বলে তাদের সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়ে নিচে নেমে আসেন।

৪১ বছর বয়সী প্রেমা নিজেই টুইট করে জানান তার ট্রাকিং করে রাজ্যের একেবারে শেষ প্রান্তে দুর্গম গ্রামে পৌঁছানোর কথা। মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরে সঙ্গে ছিলেন তার একজন মাত্র নিরাপত্তারক্ষী, আর কিছু গ্রামবাসী ছিলেন।

যে গ্রামের সঙ্গে কোনভাবেই যোগাযোগ করার কোন সুযোগ নেই, একমাত্র পায়ে হেঁটে সেখানে না পৌঁছানো পর্যন্ত, সেই গ্রামে ট্রেকিং করে গিয়ে বৈঠক করে এলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। দুদিন থেকে তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সরকারি উন্নয়ন প্রকল্প তাদের যুক্ত করার আশ্বাস দেন।

একইসঙ্গে প্রেমা খন্ড যোগদান তার বাবা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দর্জি খান্দু স্মরণে এক সভায়। তার বাবার স্মরণে তৈরি করা হয়েছে একটু স্তূপ। কেননা এক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পাঁচ দিন পরে দর্জি খান্ডুর দেহ পাওয়া গিয়েছিল ২০১১ সালের ৩০ এপ্রিল ১৩৭০০ ফুট উপরে সে লা পাস এলাকায়।

চিন লগোয়া নিজের রাজ্যের গ্রাম মুখ্যমন্ত্রী পরিদর্শনের ফলে এখানকার মানুষরা ভরসা পাবেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। আর প্রেমার এই ট্রেকিংয়ে যাওয়া এক ঢিলে অনেক পাখি মারা বলে ধারণা রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version