কলকাতা ব্যুরো: বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরোনোর দু সপ্তাহের মাথায় নারদ মামলায় সিবিআই গ্রেফতার করল রাজ্যের দুই হেভিওয়েট মন্ত্রী সহ মোট চারজনকে। এদের মধ্যে প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায় বর্তমানে রাজনীতি থেকে অনেক দূরে অবস্থান করছেন। বাকি সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম রাজ্যের দুই প্রভাবশালী মন্ত্রী। বর্তমানে মদন মিত্র কামারহাটির বিধায়ক।
সোমবার সকালে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে সিবিআইয়ের অফিসাররা একে একে এই চারজনের বাড়িতে হানা দিয়ে তাদের তুলে আনে নিজাম প্যালেসে। সেখানেই তাদের গ্রেফতার করা হয়। এই গ্রেফতারের ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে সিবিআই দপ্তরে চলে আসেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেআইনিভাবে তার নেতা-মন্ত্রীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে, তাকেও গ্রেপ্তারের দাবি তোলেন মমতা। পরে সিবিআই অফিসারদের এই ভাবে আইন না মেনে গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে সেখানে বৈঠক করছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।

আর ২০১৬ সালে নারদ ভিডিও স্টিং অপারেশন প্রকাশ্যে আসার পর এতদিনে এদের গ্রেফতার করা হলেও কেন শুভেন্দু অধিকারী বা মুকুল রায় কে গ্রেফতার করা হল না, সেই নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে উঠেছে। সিবিআই সূত্রের খবর, আজই নগর দায়রা আদালতে নারদ মামলায় এই চারজন সহ প্রাক্তন আইপিএস অফিসার এস এম এস এইচ মির্জার বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হবে। এর আগে একমাত্র ওই অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
এদিকে তার অনুমতি না নিয়ে এই গ্রেপ্তারি বেআইনি বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম কে জানিয়েছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, এ ব্যাপারে রাজ্যপালের অনুমতি নেওয়া হলেও, তা আইনসিদ্ধ নয়। বিষয়টি রাজ্য সরকার হাইকোর্টকে জানিয়েছে বলেও জানানো হয়েছে রাজ্য বিধানসভার তরফে।
বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রয়োগের অভিযোগ উঠলেও তা অস্বীকার করেছেন দলীয় নেতা রাহুল সিনহা। তার মতে, সিবিআইকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা রাজ্যের বিজেপির নেই। অন্যদিকে আইনজীবী তথা সিপিএম এর রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেছেন, হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত হচ্ছিল। ফলে এখানে আইন মেনেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।