কলকাতা ব্যুরো: চিনের সঙ্গে লাদাখে সীমান্ত উত্তাপ এখনই কমার লক্ষণ নেই বলে সংসদে জানিয়ে দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এরইমধ্যে সেনাবাহিনীও লাদাখ সীমান্তে শীত মরসুমে বাড়তি বাহিনী মোতায়ন রাখতে এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। স্বাভাবিকভাবে শীতের মরসুমে বেশ কয়েক মাস দেশের অন্য অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকে এই অঞ্চল। ফলে তার আগেই সেনাবাহিনীর জন্য খাদ্য সামগ্রী, যুদ্ধের সরঞ্জাম, জ্বালানি থেকে শুরু করে শীতের পোশাক এখন থেকেই সেখানে প্রস্তুত করা শুরু হয়েছে।ফলে আগামী শীতের আগে মাঝেমাঝেই লাদাখ সীমান্ত যে চিনা সেনার দৌরাত্ম্যে উত্তপ্ত হবে, তা স্পষ্ট ভারতীয় সেনাবাহিনীর আগাম প্রস্তুতি তে।
একদিকে চিন, অন্যদিকে পাকিস্তান সীমান্ত — কারগিল থেকে লাদাখ পর্যন্ত নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা মেজর জেনারেল অরবিন্দ কাপুর সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে লে তে কথা বলতে গিয়ে শীতের জন্য সব রকম আগাম প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যেসব জিনিস শীতে প্রয়োজন হয়, তা এখনই সরবরাহ করা হচ্ছে। আগামী দিনে এখানে বাহিনী যে সব দিক দিয়েই প্রস্তুত থাকবে সে কথা জানিয়ে দিয়েছেন সেনাবাহিনীর এই শীর্ষকর্তা।আবার সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার রাকেশ মানকা, যিনি বাহিনীর যাবতীয় সাজ-সরঞ্জামের দায়িত্বে রয়েছেন, তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গাড়ি এবং আমাদের জওয়ানদের প্রয়োজনের জন্য জ্বালানি এখন থেকেই দিচ্ছে। একইসঙ্গে রুম হিটার সহ যাতে ঠান্ডা য় রক্ষীরা কষ্ট না পান, সেসবের সরঞ্জামের ব্যবস্থা রেখেছে লে লাদাখের ওয়্যার হাউজ গুলিতে।এই সমস্ত এলাকা শীতে – কুড়ি ডিগ্রীর নিচে নেমে যায়। আবার আরো উপরে তা – ৪০ থেকে ৫০ ডিগ্রি তে থাকে। এই অবস্থার মধ্যে যেসব বাহিনীর জওয়ানরা থাকছেন তার জন্য এখন থেকেই শীতের পোশাক সরবরাহ শুরু হয়ে গিয়েছে। একইসঙ্গে রেশন সংগ্রহ করে জমানো, প্যাকিং করা খাবার, ক্যানে করে যেসব খাবার পৌঁছে দেওয়া যায় তাও বরাদ্দ করা হয়েছে বলে সেনাবাহিনী জানিয়েছে। খাদ্য সামগ্রী, সেনা সরঞ্জাম রাখার লাদাখ সীমান্তের যাবতীয় ওয়ারহাউজ গুলি এখন ভর্তি হয়ে গেছে বলেও জানিয়েছেন সেনা কর্তারা।