কলকাতা ব্যুরো: সাংসদ পদ থেকে তাঁর ইস্তফা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। শুক্রবার সব জল্পনার অবসান ঘটলো। অর্পিতা ঘোষকে এবার বড় দায়িত্ব দিল তৃণমূল। তাঁকে দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। শুক্রবার থেকেই এই পদের দায়িত্বে এলেন অর্পিতা। দলের সভাপতি সুব্রত বক্সী একটি অফিসিয়াল চিঠি দিয়ে এ কথা জানান প্রাক্তন এই রাজ্যসভা সাংসদকে। তিলি লেখেন, ‘আমার বিশ্বাস এবং আশা দলের সংগঠনের উন্নতির জন্য কাজ করবে।’
এদিকে, দলের সাংগঠনিক দায়িত্ব পাওয়ার পর এবার সেই অর্পিতার ছেড়ে দেওয়া আসনে সংসদে কাকে তৃণমূল পাঠাবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই অসমের শিলচরের প্রাক্তন সাংসদ সু্স্মিতা দেবকে রাজ্যসভার মনোনয়ন দিয়েছে তৃণমূল। ঠিক তেমনভাবেই অর্পিতার ছেড়ে যাওয়া সাংসদ পদেও কি ভিনরাজ্যের কোনও বড় নেতাকে দেখা যেতে পারে? ফের কি কোনও সর্বভারতীয় নেতা যোগ দিতে চলেছেন তৃণমূল? এইসব প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে।
প্রসঙ্গত, গত ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটে জিতেছিলেন অর্পিতা। নাট্যকর্মী অর্পিতা ঘোষ বালুরঘাট থেকে নির্বাচিত হয়ে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেন। এরপর ২০১৯ সালে তৃণমূলের হয়ে ফের বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হন অর্পিতা ঘোষ। সেবার তিনি অবশ্য পরাজিত হয়েছিলেন। তবে তার রাজনৈতিক সক্রিয়তাকে মাথায় রেখেই তাঁকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে মনোনীত করে তৃণমূল।
২০২০ সালে তৃণমূল সুপ্রিমো রাজ্যসভার সাংসদ পদের জন্য তাঁকেই বেছে নেন। এরমধ্যেই গত বুধবার আচমকা রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিতেই জল্পনা শুরু হয় অর্পিতা ঘোষকে নিয়ে। পুনরায় তাকে জেলায় কোনও দলীয় পদ দিয়ে নিয়ে আসা শুরু হয়েছিল। আবার কেউ বলছেন, তাঁকে ত্রিপুরার ভোটের কাজে লাগানো হবে। সব জল্পনার অবসান হল শুক্রবার।
কেউ কেউ এও জানাচ্ছেন, ২০২৪ লোকসভার আগে এটি তৃণমূলের কৌশল। অর্পিতা ঘোষ বলেছিলেন, ‘আমি সরাসরি সংগঠনের হয়ে কাজ করতে চাই। এ নিয়ে এর আগেই দলকে জানিয়েছিলাম। অবশেষে দল আমার সেই আবেদনে সিলমোহর দিয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটের ভোটার লিস্টে আমি আগেই নাম তুলেছি। ওই জেলার কাজ করতে পারলে ভাল হয়। তবে দল আমাকে যেখানকার দায়িত্ব দেবে সেটাই আমি অক্ষরে অক্ষরে পালন করব।’