কলকাতা ব্যুরো: কলকাতা হাইকোর্টে ফের রক্ষাকবচের আবেদন করলেন অনুব্রত মণ্ডল। এবার গরুপাচার মামলায় রক্ষাকবচ চাইলেন তিনি। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ওই মামলার শুনানির সম্ভাবনা।
উল্লেখ্য, জানুয়ারি মাসে দু’বার অনুব্রত মণ্ডলকে নোটিস পাঠায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অবশ্য ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় তলব করা হয় তাঁকে। পরে অসুস্থতার কথা জানিয়ে তলব এড়ান তৃণমূল নেতা। এরপর কলকাতা হাইকোর্টে রক্ষাকবচ চেয়ে আবেদন করেন অনুব্রত। তাঁর আবেদন মঞ্জুর করে কলকাতা হাইকোর্ট। নির্দেশ ছাড়া বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতিকে গ্রেপ্তার বা তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ করা যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয় আদালত।
তবে ভোট পরবর্তী মামলায় স্বস্তি মিললেও ফের সিবিআই তলবের মুখোমুখি অনুব্রত মণ্ডল। গরুপাচার কাণ্ডের তদন্তে একাধিকবার নিজাম প্যালেসে ডেকে পাঠানো হয় তাঁকে। যদিও শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে বারবারই সিবিআই তলব এড়ান বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। আগামী ১৫ মার্চ আবারও তাঁকে তলব করেছে সিবিআই। তবে তার আগে রক্ষাকবচের আর্জি জানিয়ে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী সঞ্জীব দাঁ। তিনি বলেন, অনুব্রত মণ্ডল আদালতে জানিয়েছেন সিবিআইকে সবরকম সাহায্য করবেন। কিন্তু সিবিআই তাকে যেন গ্রেপ্তার না করে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় মামলার শুনানির সম্ভাবনা।
উল্লেখ্য, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি অভিনেতা-সাংসদ দেবকে তলব করে সিবিআই। সেই অনুযায়ী নির্ধারিত দিনে নিজাম প্যালেসে সিবিআই দপ্তরে যান ঘাটালের তারকা তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেতা দেব। টানা পাঁচ ঘণ্টা জেরা করা হয়। নিজাম প্যালেস থেকে হাসি মুখেই বেরতে দেখা যায় তারকা সাংসদকে। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তারকা জানান, তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে।
শোনা যায়, গরুপাচার কাণ্ডের অন্যতম মূল অভিযুক্ত এনামুল হকের বয়ানে উঠেছিল তারকা সাংসদ দেবের নাম। তবে এনামুল হক বলে কাউকে চেনেন না বলেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানান দেব। আর্থিক লেনদেনের বিষয়ও অস্বীকার করেন তারকা সাংসদ।