এক নজরে

বন্যপ্রাণী পাচারের করিডোর এখন পূর্ব বর্ধমান

By admin

December 04, 2020

কলকাতা ব্যুরো : কখনো নীলগাই আবার কখনো কচ্ছপ, মাঝে মাঝে হরেক রকমের পাখি উদ্ধার করছে বনদপ্তর পূর্ব বর্ধমান জেলা থেকে। বনদপ্তর এর দাবি পূর্ব বর্ধমান জেলার উপর দিয়ে রেল ও সড়ক পথে পাচার হচ্ছে বন্যপ্রাণী। এইসব বন্যপ্রাণীদের কিছু উদ্ধার করা হলেও কাজ চালিয়ে যাচ্ছে পাচারকারীরা।

বনদপ্তর এই পাচার চক্রের সঙ্গে কারা যুক্ত বা কোথায় সেসব বন্যপ্রাণী পাচার হচ্ছে সেসব জানার এখন চেষ্টা করছে। কিছুদিন আগে পাচারের সময় প্রচুর সংখ্যক ময়না, টিয়া পাখি ইত্যাদি উদ্ধার করেছিল বনদপ্তর। বনদপ্তর আধিকারিকরা গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায়। কাঁকসা থানা টোলপ্লাজার কাছে বেসরকারি যাত্রীবাহী বাস থেকে বিভিন্ন ধরনের ময়না এবং টিয়া উদ্ধার করা হয়। সেই বাসের কন্ডাক্টর এবং খালাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বিহার থেকে কলকাতাগামী বেসরকারি বাসে পাখি পাচার করা হচ্ছে বলে বনদপ্তর খবর পায়। সেই খবর পেয়েই দুর্গাপুর বর্ধমান বনদপ্তর আধিকারিকরা দুই নম্বর জাতীয় সড়কে অভিযানে নামে। বাঁশকোপা টোলপ্লাজার কাছে যাত্রীবাহী বাসটি এসে দাঁড়ায়। তল্লাশি শুরু করেন বনদপ্তর আধিকারিকরা। প্রায় সাড়ে ৩০০ টি টিয়া এবং ময়না উদ্ধার করা হয়। পাখি গুলিকে বনদপ্তর থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বনদপ্তর আধিকারিকরা জানিয়েছেন খাঁচাভর্তি পাখি বস্তার মধ্যে ঢোকানো ছিল। কিন্তু পাখিগুলো সুস্থ অবস্থা তেই উদ্ধার করা গেছে। কাঁকসার গভীর জঙ্গলে সেই সব পাখি ছেড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

শীতের সময় বরাবরই বন্যপ্রাণী পাচার হয়ে থাকে। তাই বনদপ্তরের কর্তারা বেশ উদ্বিগ্ন। বেশ কয়েক বছর ধরে এই রাজ্যের উপর দিয়ে বিহার, উত্তর প্রদেশ থেকে পাচার চলছে। সড়কপথে এবং রেলপথে অনেক কচ্ছপ উদ্ধার করেছেন বনদপ্তর। এমনকি নীলগাই পর্যন্ত কর্মীরা উদ্ধার করেছেন। কিন্তু চিকিৎসা চালিয়েও সেই নীলগাই কে বাঁচানো যায়নি। এই ধরনের বন্যপ্রাণী পাচারে উদ্বিগ্ন বনদপ্তর। এইসব বন্যপ্রাণী পাচার করছে করা, কোনো চক্র কাজ করছে কিনা, বন্য প্রাণী গুলোকে কোথা থেকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ইত্যাদি বিষয় গুলি বিস্তারিত ভাবে জানার চেষ্টা করছেন বনদপ্তরের কর্তারা।