কলকাতা ব্যুরো: রবি ঠাকুরের আশ্রমে দাঁড়িয়ে কেষ্ট- বিষ্ণুদের বার্তা দিতে তিনি পৌঁছে গিয়েছেন বোলপুরে। আজ প্রায় সারা দিন তাই তিনি কাটাবেন বীরভূমের এই শহরে। যদিও তার এবার বোলপুরে যাওয়ার একটা বড় কারণ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় যাওয়া। সাম্প্রতিক পৌষ মেলা মাঠে পাঁচিল ঘেরাকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া জটিলতার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর শান্তিনিকেতনে সফর রাজনৈতিকভাবেও তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। সেখানে প্রায় পৌনে দু ঘন্টা কাটিয়ে তিনি আবার বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা হিসেবে চলে যাবেন রাজনৈতিক মঞ্চে।
প্রথমে এক বাউলের বাড়িতে দুপুরের খাওয়া সারবেন অমিত শাহ। তারপর বেলা দুটো থেকে দু’ঘণ্টা ধরে বোলপুরে মিছিলে থাকার কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। ফলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতন ছাড়া বোলপুরে গত কয়েক বছর ধরে টিভিতে সবচেয়ে বেশি মুখ দেখানো, আলটপকা মন্তব্য করে রাজনীতির বাজার গরম করা কেষ্ট মন্ডলের উঠোনে গিয়ে তৃণমূলকে এটাও বিজেপির বার্তা দেওয়া হল বলেও মনে করছেন দলীয় নেতারা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই সফরে প্রথম দিনটা যদি হয় শুভেন্দু অধিকারীর জন্য, অবশ্যই দ্বিতীয় দিন তার মূল ফোকাস একদিকে শান্তিনিকেতন, অন্যদিকে বীরভূমে বিজেপির পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি গড়ে হানা দেওয়া।
যদিও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে রবীন্দ্রনাথের নোবেল চুরি নিয়ে অমিত সাহকে শান্তিনিকেতনে কোন বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হয় কিনা তানি য়ে জল্পনা রয়েছে আবাসিকদের। এই সফরে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ স্থির করেছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিশ্বভারতীতে এই সফরে রাজনৈতিক নেতাদের ঢুকতে দেওয়া হবে না। কারণ সে ক্ষেত্রে রাজনীতির রং লেগে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে বিরম্বনার সুযোগ থেকে যাবে।