কলকাতা ব্যুরো: উৎসবের মরসুমের আগেই সাধারণ মানুষের জন্য খুলে গেল কলকাতার আলিপুর চিড়িয়াখানা। কোভিডের কারণে মে মাস থেকে দীর্ঘ সময় বন্ধ ছিল। সকাল ন’টা থেকে বিকেল সাড়ে চারটে পর্যন্ত খোলা থাকবে টিকিট কাউন্টার। তবে কড়াকড়িভাবেই মানতে হবে করোনাবিধি। 

আলিপুর চিড়িয়াখানার ডিরেক্টর আশিস সামন্ত সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রতিদিন সকাল ন’টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত খোলা থাকবে চিড়িয়াখানা ৷ যাবতীয় কোভিডবিধি মেনেই দর্শক ও পর্যকদের ভিতরে ঢুকতে হবে ৷ প্রত্যেককেই কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে ৷ তিনি আরও বলেন, চিড়িয়াখানায় ঢোকার মুখে একটা স্যানিটাইজার টানেল বসানো হয়েছে ৷ দর্শকদের সেই টানেলের ভিতর দিয়ে চিড়িয়াখানায় ঢুকতে হবে ৷ মাস্ক না পরলে কাউকেই চিড়িয়াখানায় ঢুকতে দেওয়া হবে না ৷ চিড়িয়াখানার কোথাও জমায়েত করা যাবে না ৷

আশিসবাবু জানিয়েছেন, চিড়িয়াখানায় যে ক’টি প্রধান আকর্ষণ রয়েছে, তার সবকটিই দেখতে পারবেন দর্শকরা ৷ বাঘ, সিংহ, অ্যানাকোন্ডা, হাতি, সবই দেখতে পারবেন তাঁরা ৷ তবে করোনার কারণেই চিড়িয়াখানার ভিতরে থাকা রেস্তোরাঁ ও খাবারের দোকানগুলিতে বিধিনিষেধ কার্যকর থাকবে ৷ তবে, বুধবার থেকে যে আলিপুর চিড়িয়াখানা খুলে গিয়েছে, সেকথা এখনও বহু মানুষের অজানা ৷ তাই এদিন চিড়িয়াখানায় তেমন ভিড় হয়নি ৷ তবে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই এই খরা কেটে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে ৷

তাছাড়া কোনওমতেই যাতে ভিড় না হয় সে বিষয়ে নজরদারি চালাবে কর্তৃপক্ষ। মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীও। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানাকেও জানানো হয়েছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। 

সামনেই পুজো। তার আগে চিড়িয়াখানা খুলে যাওয়ায় আনন্দিত সকলেই। প্রথম দিনেই ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। বাবা-মা, দাদু-দিদার সঙ্গে বহু কচিকাঁচাকেও চিড়িয়াখানায় আসতে দেখা গেল এদিন। অন্যদিকে, শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কও এদিন জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়।   

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version