কলকাতা ব্যুরো: অনলাইন নয়, অফলাইনেই হবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা। ছাত্র বিক্ষোভের মাঝেও সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। উল্লেখ্য, অনলাইনে পরীক্ষার দাবিতে আন্দোলনে নামে ছাত্রছাত্রীরা। কিন্তু মাথা নোয়ায়নি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। নিয়ামক সিন্ডিকেট সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, স্নাতক-স্নাতকোত্তরের পরীক্ষা হবে অফলাইনেই। কিন্তু তাতেও থামেনি আন্দোলন। এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। সিঙ্গল বেঞ্চ জানিয়েদিয়েছিল, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যা সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই হবে। এবার ডিভিশন বেঞ্চও একই রায় দিল।

পড়ুয়াদের অভিযোগ ছিল, অতিমারীকালে দীর্ঘদিন অনলাইনে ক্লাস হয়েছে। সিলেবাসও শেষ হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া যুক্তিযুক্ত নয়। সেই কারণেই অনলাইনে পরীক্ষার দাবি তুলেছিলেন তাঁরা। মঙ্গলবার এই মামলায় বিচারপতি জানান, এ বিষয়ে ভাইস-চান্সেলরের হাতেই সমস্ত ক্ষমতা রয়েছে। তিনি ঠিক করবেন কী হবে না হবে। পড়ুয়াদের পরীক্ষা ও ক্লাস সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ থাকলে তা পরীক্ষা নিয়ামকের কাছে আবেদন করা যাবে। সমস্ত বিষয় বিবেচনা করে তিনি বাকি সিদ্ধান্ত নেবেন অর্থাৎ সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রেখে ডিভিশন বেঞ্চে খারিজ হয়ে গেল মামলা।

এদিন ডিভিশন বেঞ্চ রায় দিতে গিয়ে, যাদবপুর এবং রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদাহরণও তুলে ধরেন বিচারপতি। তিনি বলেন, করোনা কালে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরাও অনলাইনে ক্লাস করেছিলেন। কিন্তু পরীক্ষা অফলাইনেই হয়েছে।
অনলাইন ও অফলাইন পদ্ধতির ফারাক হল, প্রথমটিতে বাড়িতে বসে বই দেখে পরীক্ষা দেওয়া যায়। দ্বিতীয় পদ্ধতিতে আগের মতো এক কলেজের পড়ুয়াদের অন্য কলেজে গিয়ে খাতায় কলমে পরীক্ষা দিতে হবে। গত দু’বছর কোভিড পরিস্থিতি থাকায় অনলাইনে সেমেস্টার পরীক্ষা নেওয়া শুরু হয়।

উল্লেখ্য, গত মাসে কলেজ স্ট্রিটে রাস্তায় পড়ুয়াদের একাংশ অনলাইন পরীক্ষার দাবিতে বিক্ষোভ দেখান। কিছু পড়ুয়া সেই দাবিতে আবার অনশনেও বসেন। তাঁদের বক্তব্য ছিল, অফলাইনে পরীক্ষা নিলে সিলেবাস আগে শেষ করতে হবে। সেইমতো সিন্ডকেট সিদ্ধান্ত নেয় কলেজগুলিকে আগে সিলেবাস শেষ করতে হবে। তারপর নেওয়া হবে পরীক্ষা।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version