কলকাতা ব্যুরো: তালিবানের সঙ্গে আলোচনা চলছে শান্তিপূর্ণ মিটমাটের। এরই মাঝে ফের একবার ‘যুদ্ধে’র হুঙ্কার ছাড়লেন পঞ্জশিরের ‘শের’ আহমদ শাহ মাসুদের পুত্র আহমদ মাসুদ। মাসুদের স্পষ্ট বক্তব্য, পঞ্জশির আত্মসমর্পণ করবে না। যদিও মাসুদ বলেন যে তিনি যুদ্ধের মাধ্যমে রক্তপাত চান না। মাসুদ অবশ্য স্পষ্ট করে দেন যে তিনি তাঁর বাবার দেখানো পথেই হাঁটবেন এবং তালিবানের কাছে কোনওমতেই মাথা নত করবেন না।

প্রসঙ্গত, রবিবার থেকেই তালিবান-মাসুদ আলোচনা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে চড়েছে। বিভিন্ন মাধ্যমে এও দাবি করা হয় যে হক্কানি নেটওয়ার্কের তরফে জানানো হয়েছে যে মাসুদ তালিবানি আনুগত্য মেনে নিয়েছেন। এরই মাঝে রবিবার মাসুদ বলেন, আমাদের দাবি মেনে না নিলে যুদ্ধ অনিবার্য। তিনি আরও বলেন, বিদ্রোহী যোদ্ধারা শুধুমাত্র পঞ্জশিরের জন্যে লড়ছে না, তাঁরা গোটা আফগানিস্তানের জন্য লড়ছে।

মাসুদ জানান আরও জানান, বর্তমানে বিভিন্ন প্রদেশ থেকে যোদ্ধারা এসে পঞ্জশিরে ঘাঁটি গেড়েছেন। তালিবানের বিরুদ্ধে শুধু পঞ্জশির হাতিয়ার তোলেনি, আফগানিস্তানের আরও বিভিন্ন জনজাতি এই যুদ্ধে নাম লিখিয়েছে। তাজিক, উজবেক, হাজারা থেকে পস্তুন, সকল জনজাতি তালিবান বিরোধিতায় নেমেছে। তবে তিনি এও দাবি করেন যে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে আলোচনাই একমাত্র উপায়।

এদিকে এক সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে মাসুদ বলেছেন, এমন কোনও সরকারে আমার আপত্তি নেই যেখানে তালিবানও অংশ নিচ্ছে। তবে তালিবান যদি সর্বগ্রাসী শাসন ব্যবস্থা স্থাপণ করে, তবে আন্তর্জাতিক মহলের সেই সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত হবে না। কাবুলের সরকারে আফগানিস্তানে বসবাসরত সকল জনজাতির অংশগ্রহণ প্রয়োজন। জানা গিয়েছে মাসুদ তালিবানের কাছে গণতন্ত্র স্থাপনের দাবি করেছেন। তা না মানা হলে যুদ্ধ অনিবার্য।

প্রসঙ্গত, পঞ্জশিরে ঢুকতে গিয়ে গত কয়েক দিনে বাধার মুখে পড়তে হয়েছে তালিবান যোদ্ধাদের। নর্দান অ্যালায়েন্স এক ইঞ্চি জমি ছাড়তেও নারাজ। গোটা আফগানিস্তান যখন কার্যত আত্মসমর্পন করেছে তালিবানদের কাছে তখন আহমেদ মাসুদের বাহিনী স্পষ্টত জানিয়ে দিয়েছে কোনও অবস্থাতেই পঞ্জশিরের জমি দেবে না তারা। 

ইতিমধ্যই মুজাহিদিন সশস্ত্র বাহিনী পঞ্জশির উপত্যকার দিকে রওনা দিয়েছে। অতীতেও এই বাহিনীর সামনে পড়ে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে তালিবান। 

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version