কলকাতা ব্যুরো: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাস পাশওয়ানের মৃত্যুতে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব রাত তাদের মত করে শোক জানিয়েছেন। আর রামবিলাস পাসোয়ান মৃত্যুর পর আরো বেশি করে আলোচনায় উঠে এসেছেন বার্নপুর আসানসোল বাঁকুড়ার একটা অংশের মানুষের। কেননা দামোদর নদের উপরে বাঁকুড়া ও আসানসোল শিল্পাঞ্চলের যোগাযোগের জন্য সেতুর কাজের শিলান্যাস করেছিলেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান। ২০০৮ সালে ১৮ মার্চ বার্ণপুরে এই সেতুর শিলান্যাস করে রামবিলাস মানুষকে আশ্বস্ত করেছিলেন, আসানসোল এবং বাঁকুড়ার বিশাল অংশের মধ্যে দ্রুত যোগাযোগের জন্য এই সেতুটি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শেষ করা হবে। বাস্তবে এর শেষের ব্যাপারে কোনো তরফেই উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।তারপরে কেটে গিয়েছে ১২ বছর। রাস্তার জমি অধিগ্রহণ থেকে শুরু করে নানা সমস্যায় থেমে থেমে কাজে এগিয়েছে শম্বুক গতিতে। অথচ এই সেতুটি তৈরি হয়ে গেলে, বাঁকুড়ার শালতোড়া, মেজিয়া, সাতনা সহ আশপাশের এলাকা থেকে বার্নপুর হয়ে আসানসোলে আসার পথ আরো সহজ হয়ে যেত। সাতনার বাসিন্দা হারাধন মন্ডল বলেন, বাসুদেব আচারিয়া সাংসদ পদ থেকে সরে দেওয়ার পর কেউ আর সেভাবে এই সেতুর জন্য উদ্যোগী হয়নি। সাংসদ এসেছেন সাংসদ গিয়েছেন। দামোদরে ব্রিজের কাজ এগোয়নি একচুলও। শিলান্যাস হলেও সেতুর এখনো শেষ না হওয়ায় নদীপথে দুর্ভোগের যাত্রা জারি রয়েছে দুই জেলার হাজার হাজার মানুষের।
আসানসোল থেকে বাঁকুড়া নিত্য যাতায়াত উজ্জল গুপ্তর। তিনি বলেন, দামোদর নদীর উপরে সেতু তৈরির কাজ দ্রুত শুরু করা দরকার। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য, সব রাজনৈতিক দলই তাদের মত করে ভোটের সময় মানুষের কাছে হাতজোড় করলেও, এমন একটা উন্নয়নের কাজে কারোরই কোনো উৎসাহ নেই।আসানসোল দুর্গাপুর ডেভেলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান, তৃণমূল বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ২০০৮ সালে প্রকল্পটির শিলান্যাস হয়েছিল মাত্র। রাস্তার জমি অধিগ্রহণ থেকে শুরু করে তারপরে যতটুকু কাজে এগিয়েছে তা তৃণমূল সরকারের আমলেই।রাজনৈতিকভাবে শাসক দল হিসেবে তৃণমূল কৃতিত্ব দাবি করলেও, কবে কাজ শেষ হবে, সে ব্যাপারে অবশ্য কারো মুখে কোন রা নেই। এখন আসানসোলের মানুষ চাইছেন বর্তমান সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় অন্যান্য উন্নয়নের কাজের সঙ্গেই এবার দামোদরের উপর এই ব্রিজের কাজটি শেষ করতে উদ্যোগ নিন। সেক্ষেত্রে আগামী লোকসভা ভোটে মানুষ তার প্রতি কৃপা দৃষ্টি দেওয়ার ক্ষেত্রে আরও ভাবার সুযোগ পাবে।