কলকাতা ব্যুরো: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই রাজ্য বিধানসভার স্পিকারের সঙ্গে দেখা করলেন সিবিআই অধিকারিকরা। শুক্রবার সিবিআই আধিকারিকদের বিকেল চারটের মধ্যে বিধানসভার স্পিকারের সঙ্গে দেখা করা নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। নির্দেশে বলা হয়েছিল, সিবিআই অফিসাররা রাজ্য বিধানসভার স্পিকারের কাছে গিয়ে তাঁর পাঠানো সমনের জবাব দেওয়ার জন্য সময় চেয়ে নেবেন। জানা গিয়েছে, আগামী ৭ অক্টোবর সিবিআই এবং ইডি আধিকারিকদের সঙ্গে আবারও দেখা করতে চেয়েছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ।
প্রসঙ্গত, নারদ মামলায় রাজ্যের তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম ,সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও বিধায়ক মদন মিত্রকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। রাজ্যপালের অনুমতি নিয়ে রাজ্যের দুই মন্ত্রী ও বিধায়কের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কিন্তু চার্জশিট দেওয়ার আগে রাজ্য বিধানসভার স্পিকারের অনুমতি নেওয়া আবশ্যক দাবি করেন রাজ্য বিধানসভার স্পিকার। এক্ষেত্রে সেই সম্মতি না-নেওয়ায় সিবিআই ও ইডি দুই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে ২২ সেপ্টেম্বর বিধানসভায় স্পিকারের কার্যালয়ে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
কিন্তু স্পিকারের সামনে হাজিরা দেননি সিবিআই আধিকারিকরা। উল্টে স্পিকারের তলবের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করে তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই আধিকারিকদের বক্তব্য, তাঁরা নিয়ম মেনেই কাজ করেছেন। সিবিআইয়ের তরফে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। যাতে বলা হয়েছিল স্পিকারের কোনও ক্ষমতাই নেই সিবিআই অফিসারদের সমন পাঠানোর।
সোমবার সিবিআই-এর পক্ষ থেকে তুষার মেহতা জানান, হাইকোর্টের নির্দেশে নারদা মামলায় সিবিআই তদন্ত শুরু করে। সিবিআই চার্জশিটও পেশ করে। তবে বিধায়কদের বিরুদ্ধে কিছু পদক্ষেপ নিতে গেলে স্পিকারের অনুমতি লাগে। তাই সিবিআই রাজ্যপালের কাছ থেকে কনসেন্ট নেয়। কিন্তু এরপর স্পিকারের অফিসে একটি সমন পাঠানো হয়। স্পিকারের অনুমতি ছাড়া কোন তদন্ত নয় এমনটাই জানিয়ে দেয় হাইকোর্ট। তবে সিবিআই-এর যুক্তি আদৌ এই অধিকার আদৌ স্পিকারের নেই। এরপর অফিসারদের ডেকে পাঠান স্পিকার।
এই মামলায় সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি নির্দেশ দেন, স্পিকার একটি সাংবিধানিক পদ। সুতরাং স্পিকার ডাকলে সিবিআই আধিকারিকদের দেখা করতে হবে। তবে, সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবেন না স্পিকার। মঙ্গলবার দুপুরে ফের এই মামলার শুনানি। ইডি ও একই ইস্যুতে মামলায় যুক্ত হবে।