কলকাতা ব্যুরো: কয়েকদিনের মধ্যেই পাল্টে গিয়েছে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি। নাগরিকদের দেশে ফেরানোর প্রস্তুতি নেওয়ার আগেই রাজধানীর দখল নিয়েছে তালিবান। আতঙ্কে শুধু মার্কিন বা ভারতীয় নন, দেশ ছেড়ে পালাতে চাইছেন হাজার হাজার আফগান। ইতিমধ্যেই শতাধিক ভারতীয়কে ফিরিয়ে এনেছে নয়া দিল্লি। এখনও আটকে রয়েছেন আরও অনেকে। আর এই পরিস্থিতিতে সব রাজনৈতিক দলকে পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত করতে উদ্যোগী হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই বিষয়ে আলোচনার জন্য আগামী বৃহস্পতিবার এক সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, সব দলের নেতাদের আফগানিস্তানের পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করতে চান মোদী। এই বিষয়ে সব তথ্য জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিদেশ মন্ত্রককে। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর টুইটে জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রককে সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের আফগানিস্তান সম্পর্কে তথ্য দেওয়ার কথা বলেছেন নরেন্দ্র মোদী।
তবে মোদীর এই উদ্যোগেও খুশি নন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। তাঁর প্রশ্ন, কেন বিদেশমন্ত্রক? কেন মোদী নিজে জানাবেন না? এ দিন জয়শঙ্করের টুইটের পরই একটি টুইটে রাহুল গান্ধী লিখেছেন, ‘মোদীজি নিজে কেন কথা বলতে পারবেন না? নাকি উনি জানেন না আফগানিস্তান কী হচ্ছে না হচ্ছে?
দেশের নিরাপত্তা এবং বিদেশনীতি মেনে সেই বৈঠকে যোগ দেবে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসও। সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি মমতা জানান, এই কাজে ভারত সরকারের সঙ্গে যৌথভাবেই কাজ করবে রাজ্য। নবান্নে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এদিন মমতা সাফ জানিয়ে দেন এটা আন্তর্জাতিক ইস্যু। বিদেশনীতি মেনে রাজ্য কেন্দ্রের সঙ্গে যৌথভাবেই কাজ করবে। বাংলার আলাদা করে কিছু করার নেই। আমাদের যা খোঁজখবর নেওয়ার, তা নিচ্ছি। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি।
এর আগে গত ১৭ অগস্ট অর্থাৎ তালিবানের কাবুল দখলের পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার একটি বৈঠকে বসেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। কী ভাবে আফগানিস্তান থেকে ভারতীয়দের ফেরানো যায়, সেই বিষয়েই আলোচনা হয়েছিল ওই বৈঠকে। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বারবারই জানানো হয়েছে যে, ভারতীয়দের ফেরাতে সবরকমের চেষ্টা জারি রেখেছে কেন্দ্র, তবে সবটাই নির্ভর করছে কাবুল বিমানবন্দরের পরিস্থিতির ওপরে।