এক নজরে

বিশ্বভারতীর শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ধোঁয়াশা অব্যহত

By admin

December 25, 2020

কলকাতা ব্যুরো: বিশ্বভারতীর শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতি রাজ্যের জনগণের মধ্যে এক ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে, ওনার অনুপস্থিতির আসল কারণ কি? অনেকের মতে তার অনুপস্থিতি আদতে রাজনৈতিক না বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ?

এই প্রশ্নের উত্তর দিতে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া আমন্ত্রণপত্র প্রকাশ্যে আনে-

এই আমন্ত্রণপত্র প্রকাশ্যে আসতেই রাজনৈতিক বাজারে আরও এক রসদের জোগান হল, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে.পি নাড্ডা বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জির অনুপস্থিতির কঠোর সমালোচনা করেছেন। এই গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতি চরম অসম্মান এবং গণতান্ত্রিক ও যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপর সরাসরি আক্রমণ বলে তিনি দাবি করেছেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শতবর্ষ উদযাপনে যোগ দিয়েছিলেন। তবে শুধুমাত্র রাজনৈতিক বিরোধিতার কারণে মমতা ব্যানার্জি এই অনুষ্ঠানে যোগ দেননি। সর্বভারতীয় সভাপতি অভিযোগ করেন, মুখ্যমন্ত্রী যে শত্রুতা, ঘৃণা, মিথ্যাচার এবং নির্যাতনের পথ অনুসরণ করছেন, তা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং স্বামী বিবেকানন্দের সংস্কৃতি ও আদর্শের পথ নয়। এটা বাংলার সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য নয়। মমতা ব্যানার্জি ও তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যের সংস্কৃতি,ঐতিহ্য এবং নীতিকে অপমান ও অবজ্ঞা করেছে। ঈর্ষা, রাজনৈতিক বিরোধিতা এবং ধ্বংসাত্মক প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব মমতা ব্যানার্জিকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপনে অনুপস্থিত থাকতে বাধ্য করেছে। এরফলে তিনি এরাজ্যের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে কলুষিত করেছেন।

সর্বভারতীয় সভাপতি জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং তার শিক্ষার প্রতি নিরবচ্ছিন্ন ও দৃঢ় বিশ্বাস রেখেছেন। রাজ্যের সংস্কৃতি, দর্শন এবং সাহিত্যের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আস্থা রয়েছে। তাই তিনি সব সময় এরাজ্যকে একটি উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরেছেন এবং তিনি বিশ্বাস করেন এই রাজ্য সমগ্র জাতিকে সঠিক পথে চালনা করার ক্ষমতা রাখে।

রাজ্যের মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর এই মিথ্যা অহংকার ভেঙে বিজেপিকে সোনার বাংলা গড়ার সুযোগ দেবে বলে শ্রী নাড্ডা স্পষ্ট জানিয়েছে।