কলকাতা ব্যুরো: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানবিক মুখ দেখল উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগরের বাসিন্দারা। সোমবার শ্যামনগরে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় যোগ দিতে আসা এক মহিলা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। জানতে পারার পরই অভিভাবকের ভূমিকায় উত্তীর্ণ হলেন তৃণমূল সাংসদ। দ্রুত ওই মহিলাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার নির্দেশ দেন অভিষেক। পরে গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েন আরও একজন, সেই মহিলাকে দেখতে সরাসরি তাঁর সামনে হাজির হলেন তিনি।
শ্যামনগরের মঞ্চে তখন সবেমাত্র বক্তব্য রাখতে উঠেছিলেন অভিষেক। সেই সময় হঠাৎই মঞ্চের পাশে হইহট্টগোল শুনে বক্তব্য থামিয়ে দেন তিনি। জানতে চান কী হয়েছে? তাঁর প্রশ্নের জবাবে উপস্থিত জনতা জানায়, মঞ্চের সামনে এক মহিলা জ্ঞান হারিয়েছেন। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছেন ওই মহিলা। সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত পুলিশ কর্মীদের গিয়ে মহিলাকে উদ্ধারের নির্দেশ দেন অভিষেক। ব্যবস্থা করেন প্রয়োজনীয় চিকিৎসারও।
মঞ্চ থেকে সাংসদ জানতে চান, সেখানে কোনও চিকিৎসক উপস্থিত রয়েছেন কিনা। এরপরই মহিলাকে উদ্ধার করে মঞ্চের পিছনে অভিষেকের জন্য বরাদ্দ ঘরে নিয়ে যেতে নির্দেশ দেন তিনি। বলেন, মহিলাদের চিকিৎসা সকলের সামনে হয় না। ডাক্তার রয়েছেন, ওঁর চিকিৎসা করবেন। পুলিশ এবং জনসভার স্বেচ্ছাসেবীরা তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যান। সভার শেষে তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েন আরও এক মহিলা। সভা শেষে তাঁকে দেখতে যান ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ।
সভা থেকে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, তৃণমূলই একমাত্র বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ছে। বাংলায় বিজেপিকে শূন্য করতে হবে। আমরা দরজা খুললে বিজেপি দলটাই উঠে যাবে। বিজেপি সবাইকে ইডি-সিবিআইয়ের ভয় দেখিয়ে আটকে রেখেছে। আমাকে ভয় দেখিয়ে কোনও লাভ হবে না। তৃণমূল ইডি-সিবিআইকে ভয় পায় না। বাংলার মানুষের জন্য তৃণমূল কংগ্রেস লড়ছে এবং লড়বে।
অভিষেক বলেন, দলের কর্মীরাই তৃণমূলের সম্পদ। তৃণমূলের মতো কর্মী বিজেপির কাছে নেই। তৃণমূলের এক নম্বরে রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দু’নম্বরে রয়েছেন দলের কর্মীরা। এদিন সভা শেষের পর জখম মহিলার সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।