কলকাতা ব্যুরো: দ্রৌপদী নন, আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী শিবিরের প্রার্থী যশবন্ত সিনহাকেই সমর্থন করবে আম আদমি পার্টি (Aam Aadmi Party)। শনিবার যাবতীয় জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ঘোষণা করে দিলেন আম আদমি পার্টির (Aam Aadmi Party) রাজ্যসভার সাংসদ তথা কেজরিওয়াল ঘনিষ্ঠ নেতা সঞ্জয় সিং। আর কেজরিওয়ালের এই ঘোষণায় কিছুটা স্বস্তি ফিরলো বিরোধী শিবিরে।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কেজরিওয়ালের দলের ভূমিকা কী হবে, সেটা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই জল্পনা চলছিল। এমনিতে বিজেপির সমালোচক হলেও অবিজেপি দলের দু’টি বৈঠকেই অনুপস্থিত থেকেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল। পাঠাননি কোনও প্রতিনিধিও। আবার দ্রৌপদী মুর্মুর মনোনয়নে তাঁকে সমর্থনকারী অধিকাংশ দল হাজির থাকলেও সেখানেও গরহাজির ছিল আপ (Aam Aadmi Party) নেতৃত্ব। ফলে বিবাদমান দু’পক্ষই বেশ ধোঁয়াশায় ছিল কেজরিওয়ালের অবস্থান নিয়ে। তবে শেষপর্যন্ত সরাসরি বিজেপি প্রার্থীকে সমর্থন করার মতো সিদ্ধান্ত নিতে পারলো না আপ।
শনিবার সঞ্জয় সিং জানিয়ে দিলেন, দ্রৌপদী মুর্মুর প্রতি আমাদের সম্মান আছে। তবে আমরা যশবন্ত সিনহাজিকেই সমর্থন করব। আম আদমি পার্টির (Aam Aadmi Party) এই সমর্থন রাষ্ট্রপতি ভোটে যশবন্তের জন্য বড়সড় স্বস্তির জায়গা হতে পারে কারণ, কেজরিওয়ালের দল এই মুহূর্তে বহরে বেশ বড়। দিল্লি এবং পাঞ্জাব মিলিয়ে রাজ্যসভার ১০ জন সাংসদ রয়েছে আপের। পাঞ্জাব, দিল্লি, গোয়া মিলিয়ে রয়েছে ১৬২ জন বিধায়কও।
স্বাভাবিকভাবেই কেজরিওয়াল যশবন্তকে সমর্থন করায় লড়াইটা আরও জমে গেল। আসলে আপ আদমি পার্টি (Aam Aadmi Party) যতই কংগ্রেসের বিরোধী হোক না কেন, সরাসরি বিজেপিকে সমর্থন করাটা তাঁদের পক্ষে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যেত। সেক্ষেত্রে আপ বিজেপির বি টিম বলে যে প্রচার কংগ্রেস-সহ অন্য বিরোধীরা করে, গুজরাট এবং হিমাচলপ্রদেশ বিধানসভার আগে সেই তত্ত্ব আরও জোরাল হতো। আর সেকারণেই কেজরিওয়াল এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
যদিও কেজরিওয়ালের দলের সমর্থন না পেলেও দ্রৌপদী মুর্মুর জয় নিয়ে কোনও সংশয় নেই এনডিএ শিবিরের কারণ ইতিমধ্যেই নবীন পট্টনায়েকের বিজেডি, জগন্মোহন রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেস, মায়াবতীর বিএসপি, প্রয়াত এআইএডিএমকে, চন্দ্রবাবু নায়ডু, বাদলদের শিরোমণি অকালি দল এবং উদ্ধব ঠাকরের শিব সেনাও মুর্মুকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় দ্রৌপদীর পক্ষে খাতায় কলমে সমর্থন ছিল ৫০ শতাংশের কাছাকাছি। এখন সেটা প্রায় ৬০ শতাংশ হয়ে গিয়েছে।