কলকাতা ব্যুরো: করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে চালু করেছিলেন ‘ডায়মন্ড মডেল’। শুধু ডায়মন্ড হারবারই নয়, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল ওই মডেল। বিভিন্ন মহলের সুনামও কুড়িয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওই মডেলটি। এবার ডায়মন্ডহারবারের মানুষদের সাহায্যের জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চালু করছেন একটি হেল্পলাইন। নাম দিয়েছেন ‘এক ডাকে অভিষেক’। শনিবার থেকে তাঁর লোকসভা কেন্দ্রের মানুষদের জন্য ওই হেল্পলাইন নম্বর (৭৮৮৭৭৭৮৮৭৭) চালু করছেন অভিষেক। যেকোনও সাহায্যের জন্য ওই হেল্পলাইনে ফোন করে সাহায্য চাওয়া যাবে অর্থাৎ ওই হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে তাদের সমস্যার কথা বলতে পারবেন ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রের মানুষজন।

জানা যাচ্ছে, অভিযোগ পাওয়ার পরই সঙ্গে সঙ্গে সমাধান করার চেষ্টা করা হবে। পাশাপাশি, নিজেও কথা বলতে পারেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক মহল মনে করছে এরকম হেল্পলাইন খোলার উদ্দেশ্য হল লোকসভা নির্বাচনের আগে জনসংযোগ বাড়ানো। করোনার সময়ে দেখা দিয়েছিল, করোনা নিয়ন্ত্রণে ডায়মন্ড মডেল চালু করার পাশাপাশি, রোগীদের চিকিত্সা, তাদের ওষুধ পৌঁছে দেওয়া থেকে শুরু করে ভ্যাকসিন দেওয়ার মতো কাজও দাঁড়িয়ে থেকে করেছিলেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ।
এই হেল্পলাইন খোলা নিয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, এক ফোনে একলাখ ও দিদিকে বলো-কে মিলিয়ে কেউ কিছু নতুন করেছেন বলতেই পারেন। কিন্তু ডায়মন্ডহারবারের চিটফান্ডে যে হাজার হাজার ছেলেমেয়ের লাখ লাখ টাকা লোপাট হয়ে গেল তা তারা ফেরত পাবে তো? উনি বলুন এক ফোনে টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করে দেব। এসব আজেবাজে কথা বলার কোনও মানে হয় নাকি?

তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাধারণ মানুষের কাছাকাছি থাকতে চাইছেন অর্থাৎ তৃণমূল যে কত নিবিড়ভাবে মানুষের পাশে থাকে তা প্রমাণ হল। বিরোধীদের কথা বলার মুখ নেই। ত্রিপুরায় দিদিকে বলো-কে নকল করে দাদাকে বলো তৈরি করা হয়েছিল। এখন দাদাই বদল হয়ে গিয়েছে। সুজন চক্রবর্তী চিটফান্ড যেসব কথা বলছেন সারদা হল সুজনবাবু যে জেলায় ছড়ি ঘোরাতেন সেখানকার। কীভাবে ওই চিটফান্ডের জন্ম হল তা তিনিই জবাব দিতে পারবেন।