কলকাতা ব্যুরো: বিতর্কিত তিন কৃষি আইনের মতো অগ্নিপথ প্রকল্পও প্রত্যাহার করতে বাধ্য হবে কেন্দ্রকে। মোদি সরকারকে একপ্রকার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তাঁর দাবি, দিশাহীন এই প্রকল্প ঘোষণা করে জয় জওয়ান, জয় কিষাণের আদর্শকে অপমান করেছে কেন্দ্র। হাসপাতাল থেকে বিবৃতি দিয়ে এই প্রকল্পের নিন্দা করেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীও।
অগ্নিপথ প্রকল্প ঘোষণা হতেই অগ্নিগর্ভ দেশ। সেনায় চাকরিপ্রার্থী হাজার হাজার যুবকের স্বতঃপ্রণোদিত বিক্ষোভে দেশের অন্তত ১২টি রাজ্যের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের জনজীবন বিপর্যস্ত। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এহেন বিক্ষোভে সেভাবে সক্রিয় ছিল না নিজেদের দেশের প্রধান বিরোধী দল হিসাবে দাবি করা কংগ্রেস। এবার তারা আসরে নামল।
অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতাল থেকে বিবৃতি দিয়ে বিক্ষোভরত যুবকদের উদ্দেশে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী বললেন, আমার খারাপ লাগছে যে সরকার আপনাদের কন্ঠস্বর উপেক্ষা করে নতুন এই দিশাহীন প্রকল্প ঘোষণা করে দিয়েছে। সোনিয়ার বক্তব্য, আপনাদের সকলের কাছে আমার অনুরোধ শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ দেখান। কংগ্রেস আপনাদের সঙ্গে আছে।
রাহুল আবার আরও খানিকটা সুর চড়িয়ে বলে দিয়েছেন, কেন্দ্র যেমন তিনটি কৃষি আইন বাতিল করতে বাধ্য হয়েছিল, তেমনি এটাই প্রত্যাহার করতে হবে। রাহুলের বক্তব্য, ৮ বছর ধরে লাগাতার বিজেপি সরকার জয় জওয়ান, জয় কিষান আদর্শের অপমান করে চলেছে। আমি আগেই বলেছিলাম প্রধানমন্ত্রীকে তিনটি কালা কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে হবে। ঠিক তেমনই ওকে ‘মাফিবীর’ হয়ে দেশের যুবকদের কথা শুনতে হবে। আর অগ্নিবীর প্রকল্প প্রত্যাহার করতে হবে।
রাহুল টুইটারে সরব হলেও কংগ্রেস এখনও এ হেন জ্বলন্ত ইস্যুতে পথে নামেনি। কৃষি আইনের ক্ষেত্রেও অবশ্য কংগ্রেসকে রাস্তায় দেখা যায়নি। সেই আন্দোলনও ছিল কৃষকদের স্বতঃপ্রণোদিত। সেই আন্দোলনের প্রভাব কংগ্রেসের ভোটবাক্সেও পড়েনি। এখন দেখার অগ্নিপথ আন্দোলনের সুফল কংগ্রেস ঘরে তুলতে পারে কিনা।