কলকাতা ব্যুরো: প্রাথমিক টেট দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হলো প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। বৃহস্পতিবার আদালতের উল্লেখ পর্বে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করার অনুমতি চেয়েছিলেন পর্ষদের আইনজীবী। এরপরই মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ। সোমবার এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। পর্ষদের দাবি, কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থাগুলির মত না শুনেই একতরফা সিবিআই তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২০১৪ সালের প্রাইমারি টেটে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সেই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দাবি, গতকাল অর্থাৎ বুধবার পর্যদের রিপোর্ট চেয়েছিল আদালত। রিপোর্ট জমাও পড়েছিল। কিন্তু পর্ষদ বা রাজ্যের কোনও তদন্তকারী সংস্থার কোনও বক্তব্য আদালত শোনেনি। তার আগেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এই রায় নিয়ে আপত্তি রয়েছে রাজ্যের।
আদালতে জমা দেওয়া পর্ষদের রিপোর্টে বলা হয়, ২৬৯ নয়, বাড়তি ১ নম্বর করে দেওয়া হয়েছিল ২৭৩ জনকে। টেটের প্রশ্নপত্রে ভুল ছিল, তাই নম্বর বাড়ানোর দাবিতে পর্ষদের কাছে মোট ২৭৮৭টি আবেদনপত্র জমা পড়েছিল। এদের মধ্যে ২৭৩ জন প্রশিক্ষিত প্রার্থী ছিলেন, যাদের বাড়তি ১ নম্বর করে দেওয়া হয়েছিল। পর্ষদ আরও জানিয়েছিল, ২০১৪ সালে টেট হয়েছিল অফলাইনে। তাই অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের তালিকা পর্ষদের কাছে ছিল না। ফলে এই ১৮ লক্ষের বেশি অসফল প্রার্থীদের মধ্যে থেকে প্রশিক্ষিত এবং ১ নম্বরের জন্য অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের খুঁজে বের করে বাড়তি ১ নম্বর দেওয়া পর্ষদের পক্ষে সম্ভব হয়নি।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ডিরোজিও ভবনে হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সেখানে তল্লাশির পাশাপাশি ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। তাঁদের মধ্যে পর্ষেদর অ্যাডমিনও রয়েছে। তবে এদিন যখন তল্লাশি শুরু করেছে সিবিআই ঠিক সেই সময় আদালতের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের বিরোধিতা করে ডিভিশন বেঞ্চে গেল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
1 Comment
Pingback: TET চাকরি প্রার্থীদের বিক্ষোভ