কলকাতা ব্যুরো: ইসলাম ধর্মগুরু মহম্মদ নিয়ে একটি টিভি শোয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মা। তার জেরে এর আগে হিংসা ছড়িয়েছিল কানপুরে। এবার দেশের বিভিন্ন শহরে পথে নামল সংখ্যালঘুরা। কলকাতা, দিল্লি, হায়দরাবাদ সহ উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন শহরে। দাবি, বিতর্কিত মন্তব্যের নেপথ্যে থাকা বিজেপি নেতা নূপুর শর্মা এবং নবীন জিন্দলকে গ্রেপ্তার করতে হবে।

শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর প্রার্থনাকারীরা জড়ো হন দিল্লির জামা মসজিদের সামনে। তার পর মিছিল শুরু করেন। জামা মসজিদের শাহি ইমাম জানান, তাঁদের তরফে কোনও বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়নি। কারা এসব করেছে, তাও জানেন না। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। বিক্ষোভকারীদের দাবি একটাই, নূপুর শর্মাকে গ্রেপ্তার করতে হবে।

উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর, মোরাদাবাদ, প্রয়াগরাজেও পথে নামে শয়ে শয়ে সংখ্যালঘু। দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রয়াগরাজে পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়ে বিক্ষোভকারীরা। পাল্টা লাঠি চালায় পুলিশ। ফিরোজাবাজ, লখনউ, কানপুরে কড়া নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়। গত সপ্তাহে এই কানপুরে বিক্ষোভের জেরে আহত হন ৪০ জন।
কলকাতার পার্ক সার্কাস, হায়দরাবাদের চারমিনারের সামনেও প্রতিবাদ মিছিল বের হয়। লুধিয়ানা, নবি মুম্বই, আমেদাবাদ, শ্রীনগরের বেশ কিছু জায়গায় জড়ো হয়ে সংখ্যালঘুরা স্লোগান দিতে থাকে। বিক্ষোভ দেখায়। রাঁচিতে এক মন্দিরের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ শূন্যে গুলি ছুড়তে বাধ্য হয়।

বিতর্কিত মন্তব্য করার জন্য নূপুর শর্মাকে ইতিমধ্যে সাসপেন্ড করেছে বিজেপি। আর এক নেতা নবীন জিন্দলকে বহিষ্কার করেছে। তার পরেও পরিস্থিতি শান্ত হয়নি। ইরান, সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত সহ ১৬টি দেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এই নিয়ে।