কলকাতা ব্যুরো: এসএলএসটি, উচ্চ প্রাথমিকের পর এবার প্রাইমারি টেটেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। অভিযোগ, পরীক্ষায় পাশ না করেও চাকরি পেয়েছেন। তদন্তের দাবিতে এবার মামলায় দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। মঙ্গলবার বিকেল তিনটেয় মামলার শুনানি। ইতিপূর্বে এই দুর্নীতি নিয়ে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের এজলাসেও দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা।
২০১৪ সালের প্রাইমারি টেটেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। অভিযোগ, জনৈক সুব্রত মণ্ডল টেটে পাশ না করেও চাকরি পেয়েছেন। এই দুর্নীতির তদন্তের দাবিতে দায়ের হল মামলা। মামলা দায়েরের অনুমতি চেয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মামলাকারী। বিচারপতি মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন। বিকেল তিনটেয় শুনানি।
ইতিপূর্বে, প্রধান বিচারপতির এজলাসে প্রাইমারি টেট নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে কিনা, তা নিয়ে এখনও টানাপোড়েন চলছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে প্রাথমিকস্তরে শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের স্বার্থে টেটের আয়োজন করেছিল রাজ্য সরকার। নিয়োগও হয়েছিল। এবার সেই পরীক্ষাতেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। এর আগে এসএসসির দুর্নীতি সংক্রান্ত এক মামলার রায়ে রাজ্যের মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতার চাকরি বাতিল করেছিল আদালত। স্কুলশিক্ষিকার চাকরি খোয়াতে হয়েছিল তাঁকে। জরিমানা বাবদ বেতনও ফেরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। অঙ্কিতা মেখলিগঞ্জের ইন্দিরা বালিকা বিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। হাই কোর্টের নির্দেশে তাঁর স্কুলে ঢোকা বন্ধ। একই পরিস্থিতি হতে চলেছে সিদ্দিক গাজির।
এদিকে সোমবার নবম ও দশম শ্রেণিতে বেআইনিভাবে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত অভিযোগে মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে। বিচারপতি মান্থার পর্যবেক্ষণ, মেধাতালিকা পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, ২০০-র মধ্যে থাকা প্রার্থী চাকরি পাননি, অথচ চাকরি পেয়েছেন মেধাতালিকার ২৭৫ নম্বরে থাকা স্থানাধিকারী। এরপরই তিনি মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দেন, কর্মরত গণিত শিক্ষক সিদ্দিক গাজির চাকরি বাতিল করতে হবে।