কলকাতা ব্যুরো: বগটুই কাণ্ডে জারি ধরপাকড়। বৃহস্পতিবার আরও একজনকে গ্রেপ্তার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। এদিনই তাঁকে রামপুরহাট আদালতে তোলা হবে বলে সূত্রের খবর।
বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের মর্মান্তিক ঘটনায় চার্জশিটের মোট ২১ জনের নাম ছিল। পরে আনারুলের নামযুক্ত হয়েছে সেখানে। তবে এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ২৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হল। সূত্রের খবর, তদন্তকারীদের নজরে ছিল মোট ৭০ জন। তাদের মধ্যে থেকে সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তার করছে সিবিআই। কয়েক দিন আগে সমীর শেখ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতের নাম রিটন শেখ। তবে তাকে কোথা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, বা বগটুইয়ের ঘটনায় তার ভূমিকা কী ছিল, তা স্পষ্ট করেনি সিবিআই। কেন তাকে গ্রেপ্তার করা হল তাও স্পষ্ট করা হয়নি। বৃহস্পতিবারই তাকে আদালতে তোলা হবে বলে খবর।
গত ২১ মার্চ সন্ধেয় বড়শাল গ্রামপঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুন হন। এরপর রাতে বগটুইতে একের পর এক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার তদন্তে সিট গঠন করেন মুখ্যমন্ত্রী। নিজেও খোদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। নিহতদের পরিবারের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দেন। তবে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বর্তমানে বগটুই এবং ভাদু শেখ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করছে সিবিআই।
গত বৃহস্পতিবার মুম্বই থেকে চার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে ধৃত বাপ্পা শেখ ও সাবু শেখের নাম ছিল এফআইআরে। বাকি ২ জন ধৃতদের পরিচিত। তারা মুম্বইয়ের বাসিন্দা। সূত্রের খবর, ধৃতরা মুম্বইতে নিজেদের পরিচিত কারও ডেরায় লুকিয়েছিল বাপ্পা ও সাবু। তারা বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের ঘনিষ্ঠ। মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন অনুসরণ করে তাদের হদিশ পান কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।