কলকাতা ব্যুরো: প্রথম ম্যাচে সহজ জয় এলেও চলতি আইপিএলের দ্বিতীয় ম্যাচেই মুখ থুবড়ে পড়লো কেকেআর। ফ্যাফ ডু’প্লেসিসের রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের কাছে ৩ ইউকেটে হারতে হলো নাইটদের। বুধবার কেকেআরের এই হারের জন্য একদিকে যেমন দায়ী বিশ্রী ব্যাটিং এবং অনুশাসনের অভাব, অন্যদিকে তেমনই আরসিবির দুই বঙ্গ ক্রিকেটারেরও অসামান্য দক্ষতা। বুধবার মুম্বইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে হয় কেকেআরকে। নাইটদের শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি। শুরুতেই কেকেআরের ব্যাটিং দুর্গে আঘাত হানেন আরসিবিতে খেলা বাংলার পেসার আকাশদীপ। মাত্র ১৪ রানের মাথায় শ্রেয়স আইয়ারকে ফিরিয়ে দেন তিনি।
শ্রেয়াসের ইউকেটের পতনের পর নিয়মিত সময়ের ব্যবধানে ইউকেট খোয়াতে থাকে কেকেআর। একটা সময় ৪৬ রানে চার ইউকেট পড়ে যায়। সেখান থেকে সুনীল নারিন এবং স্যাম বিলিংস কিছুটা কামব্যাক করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁদের চেষ্টা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। নারিন ১২ এবং বিলিংস ১৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। প্রথম বলে শূন্য রানে ফেরেন শেলডন জ্যাকসন। এদিন নাইট ব্যাটসম্যানদের মধ্যে একমাত্র রাসেল খানিকটা জ্বলে ওঠেন। ১৮ বলে ২৫ রান করেন তিনি। শেষদিকে উমেশ যাদব মূল্যবান ১৮ এবং বরুণ চক্রবর্তী ১০ রান করে নাইটদের সম্মানজনক স্কোরে পৌঁছে দেন। কেকেআরের ইনিংস শেষ হয় ১২৮ রানে। মাত্র ১৮ ওভার পাঁচ বলে অল-আউট হয়ে যায় শ্রেয়স ব্রিগেড। আরসিবির হয়ে হাসারাঙ্গা ৪ ইউকেট নেন ও বাংলার পেসার আকাশদীপ নেন ৩ উইকেট।
অন্যদিকে জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় আরসিবিও। অধিনায়ক ফ্যাফ ডু’প্লেসিস ৫, অনুজ রাওয়াত ০ এবং কোহলি ১২ রান করে আউট হয়ে যান ৩ ওভারের মধ্যেই। প্রবল চাপে পড়ে যায় আরসিবি। সেখান থেকে প্রতিরোধ শুরু করেন রাদারফোর্ড এবং ডেভিড উইলি। এই জুটি ভেঙে যায় ৬২ রানে। সেসময় মনে হচ্ছিল, ফের চাপে পড়ে যাবে আরসিবি। কিন্তু তারপর ব্যাট করতে নেমে খেলার মোড় পুরোপুরি ঘুরিয়ে দেন বাংলার ক্রিকেটার শাহবাজ আহমেদ। মাত্র ২০ বলে ২৭ রান করেন তিনি। রাদারফোর্ড করেন ২৮ রান। শেষদিকে আবার প্রাক্তন নাইট অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক আরসিবিকে ম্যাচ জিতিয়ে দেন। কোহলিরা জেতেন ৩ উইকেটে।

তবে হারের পাশাপাশি এদিন যেভাবে কেকেআরের ব্যাটাররা দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে ব্যাট করেছেন সেটা চিন্তায় রাখবে ম্যানেজমেন্টকে। চিন্তায় রাখবে বল হাতে রাসেলের ব্যর্থতা এবং অনুশাসনহীনতা। তবে সেই সঙ্গে বাংলার দুই ব্রাত্য ক্রিকেটার আকাশদীপ এবং শাহবাজ আহমেদ কেকেআরের কফিনে পেরেক পুঁতেছেন, সেটাও চিন্তায় রাখবে নাইট শিবিরকে।