কলকাতা ব্যুরো: প্রায় দু’বছর পর আবারও যাত্রীদের জন্য এসি কামরায় বেডরোল ও কম্বল পরিষেবা চালু করতে চলেছে ভারতীয় রেল। বৃহস্পতিবার রেল মন্ত্রক ও রেল বোর্ড যৌথ বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে। আজ থেকেই এই পরিষেবা শুরু হয়ে গিয়েছে বলে খবর।

করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রায় দু’বছর ধরে বন্ধ ছিল এই পরিষেবা। অতিমারি পরিস্থিতিতে যাত্রীদের জন্য বিশেষ বেডরোল কিটের ব্যবস্থা ছিল। যেগুলি যাত্রীদের কিনতে হত। কিন্তু সব যাত্রী যে পেতেন এমনটা নয়। এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় ২০২০ সালের ১১ মে। এরপরে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার পর মনে করা হয়েছিল পুরনো নিয়ম ফিরে আসবে। কিন্তু ২০২১ সালের ৫ মে ফের একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ওই পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত জানানো হয়। অবশেষে পুরনো দিন ফিরলো। বৃহস্পতিবার নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করে রেল ফের এসি কামরায় বেডরোল এবং কম্বল দেওয়া চালু করলো।

শীতের সময়ে রেল কম্বল, চাদর না দিলেও তার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করেছিল রেল। করোনাকালে ট্রেন সফরের সময় যাঁরা বালিশ, চাদর, কম্বল ইত্যাদি নিতে চান তাঁদের জন্য রেল বিশেষ ব্যবস্থা চালু করে। প্রথমে দিল্লি থেকে শুরু হলেও পরে অনেক বড় স্টেশনেই এই সুবিধা মেলে। এর জন্য যাত্রীদের মাথা পিছু দিতে হচ্ছিল ৩০০ টাকা। তার বিনিময়ে রেল দিচ্ছিল একটি কম্বল, একটি বিছানায় পাতার চাদর, একটি বালিশ, বালিশের কভার, একবার ব্যবহার করেই ফেলে দেওয়া যায় এমন একটি ব্যাগ, টুথপেস্ট, টুথব্রাশ, চুলে মাখার তেল, চিরুনি, স্যানিটাইজার, পেপারসোপ এবং টিস্যু পেপার।

এর চেয়ে সস্তার একটি কিটও পাওয়া যায়। তার দাম করা হয় ১৫০ টাকা। তাতে শুধু একটি কম্বল দেওয়া হয়। এই কিটগুলি কেনার পরে তা আর রেলকে ফেরত দেওয়ার ব্যাপার ছিল না। বলা হয়েছিল, কেউ চাইলে বাড়িতেও নিয়ে যেতে পারেন বা ট্রেনের ভিতরে নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলে দিতে পারেন।

তবে এ সব এখন অতীত। ফিরে এল অতীতের সেই দিন। আবার মিলবে কাগজের প্যাকেটে বিছানার সরঞ্জাম। সেই সঙ্গে বাতানুকূল বগির ভিতরে এবং জানলায় ঝুলবে পর্দা।

একইসঙ্গে রেল গ্রুপ টিকিট বুকিংয়ের ক্ষেত্রে নিয়মকানুনেরও সরলীকরণ করেছে। এখন থেকে যাত্রীরা তাঁদের নিকটতম রেল স্টেশন থেকে গ্রুপ বুকিং করতে পারবেন। বিয়ে বা অন্য কোনও অনুষ্ঠানের জন্য গোটা ট্রেন বা কোনও কোচ বুক করতে হলে আইআরসিটিসির ওয়েব সাইটের মাধ্যমে যেতে হত। প্রতিটি টিকিটের ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ অতিরিক্ত টাকা দিতে হত। নয়া নিয়মে বুকিংয়ের জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমান টাকা দিতে হবে। যাত্রা শেষে সেই টাকা ফেরত পাওয়া যাবে। সার্ভিস ট্যাক্স, জিএসটি এবং অন্যান্য কর ওই টাকার সঙ্গে যুক্ত হবে না।