কলকাতা ব্যুরো: জামিন মঞ্জুর সোমবারই হয়েছিল তবে মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতার আলিপুর মহিলা সংশোধনাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে। নেত্রী সহ বাকি ১৬ জনকে স্বাগত জানাতেই উচ্ছ্বাসিত বাম সমর্থকরা ভিড় জমিয়েছিলেন রাসবিহারী মোড়ে। তবে বামেদের অভিযোগ অতর্কিতে রাসবিহারী মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা কর্মী সমর্থকের উপর পুলিশি আক্রমণ চালিয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে এসএফআই কলকাতা জেলার সম্পাদক মহম্মদ আতিফ, কলকাতা জেলার সভাপতি দেবাঞ্জন দেব, এসএফআই এর রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য, এসএফআই-এর সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস সহ ৫৩ জনের বেশি বাম সমর্থককে। তাদের গ্রেফতার করে লালবাজারের সেন্ট্রাল লকআপে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তবে কোনও মিছিল-মিটিং নয়। স্রেফ অভিবাদন জানাতে কমরেডরা জড়ো হচ্ছিলেন কিন্তু তার পরেও পুলিশের এরূপ হিংসাত্মক মনোভাব নিয়েই এবার তাঁরা কার্যত প্রশ্ন তুলেছে। কি কারনে তাঁদের গ্রেফতার করা হচ্ছে তাঁর কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি পুলিশ।
এসএফআই সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস জানিয়েছেন, মীনাক্ষী মুখার্জিকে অভিনন্দন জানাতে যাওয়ার সময় বিনা প্ররোচনায় ছাত্র যুব নেতৃত্ব ও কর্মীদের আটক করা হয়েছে।



পাশাপাশি এক ফেসবুক পোস্টে এসএফআই রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, হাওড়া জেলে ১৫ জন ও আলিপুর জেলে মীনাক্ষীদি ছাড়া পাওয়ার পর অভিনন্দন জানাতে রাসবিহারী মোড়ে জড়ো হচ্ছিলাম আমরা। সম্পূর্ণ অকারণে আক্রমণ করে, টানাহ্যাঁচড়া করে আটক করেছে পুলিশ। আমার সাথে আছে ময়ূখদা, বিকাশদা সহ কমরেডরা। লালবাজার নিয়ে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, ছাত্রনেতা আনিস খানের হত্যার প্রতিবাদ করতে নেমেই গ্রেফতার হয়েছিলেন বাম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। আটক করা হয়েছিল মীনাক্ষী সহ ১৬ জন আন্দোলনকারীকে। তাঁদের ১৪ দিনের জেল হেফাজত দিয়েছিল আদালত। তবে সময়ের আগেই জামিন পেয়েছেন সিপিআইএম-এর যুব নেত্রী। মীনাক্ষী সহ বাকি ১৬ জনের জামিন পাওয়ার পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।



ক্রমেই সিপিএমের বঙ্গ ব্রিগেডের মুখ হয়ে উঠছেন বাম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। আনিস খান হত্যাকাণ্ডের পর থেকে এমনটাই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। মীনাক্ষী সহ বাম ছাত্রযুবদের অবস্থানই জানান দিচ্ছে রাজ্যে আবারও ঘুরে দাঁড়াচ্ছে সিপিআইএম। তবে বাম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের মুক্তির দিনেই ফের কয়েকজন বাম ছাত্রযুবদের আটক করলো পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করেই মঙ্গলবার উত্তপ্ত পরিস্থিতি শহর কলকাতায়। অবিলম্বে বাম নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি উঠেছে।