কলকাতা ব্যুরো: এই মারণ যুদ্ধে বহু মানুষের মৃত্যু হবে, ধ্বংস হবে অনেক কিছু। এর জন্য রাশিয়া একাই দায়ী, বৃহস্পতিবার এমনটাই দাবি জানালেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। রাশিয়ার এই আক্রমণের পিছনে কোনও প্ররোচনা নেই এবং এটা অনৈতিক বলেই দাবি তাঁর। পাশাপাশি এই যুদ্ধকে পূর্বপরিকল্পিত বলেই মন্তব্য আমেরিকার প্রেসিডেন্টের। তবে বাইডেন ছাড়া ইউরোপের অন্য রাষ্ট্রপ্রধানেরাও ইউক্রেনে সামরিক অভিযান নিয়ে রাশিয়ার সমালোচনা করেছে।
ইতিমধ্যে ইউক্রেনকে তিন দিক দিয়ে ঘিরে রেখেছে রাশিয়ার প্রায় দেড় লক্ষ সেনা। বাইডেন এর আগে রাশিয়াকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। পুতিনের ঘোষণার পরেও তিনি জানিয়েছেন আমেরিকা এবং তার মিত্র দেশগুলি চূড়ান্ত জবাব দেবে। রাশিয়ার অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে কী ভাবে মুখ থুবড়ে ফেলা যায়, সেই পথ বাতলানোর চেষ্টা করছে বাইডেন সরকার। পাশাপাশি ইউরোপের দেশগুলিও রাশিয়ার সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক শেষ করার রাস্তায় হাঁটতে শুরু করেছে।
তবে বাইডেন ইউক্রেনের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন বারংবার। তিনি কূটনৈতিক পদ্ধতিতে এই সমস্যা সমাধানের আশা করেছিলেন কিন্তু তা হয়নি এবং রাশিয়ার দিক থেকে শান্তি স্থাপনের কোনও ইঙ্গিতও পাওয়া যায়নি। তাই বৃহস্পতিবার জেনেভায় আমেরিকার সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিনকেন রাশিয়ার প্রতিনিধির সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ বাতিল করেছেন। জার্মানিও রাশিয়ার সঙ্গে নর্ড স্ট্রিম ২ গ্যাস পাইপলাইনের কাজ আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তবে বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের জরুরি বৈঠকে ইউক্রেনের প্রতিনিধি বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। সেই রেকর্ডের ভিডিয়ো কি চালিয়ে দেখাব? রাষ্ট্রসঙ্ঘের কাছে তাঁর আর্জি, এই যুদ্ধ বন্ধের দায়িত্ব তাদের? তিনি বলেন, আমি সবাইকে যুদ্ধ থামানোর জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।