কলকাতা ব্যুরো: ইউক্রেন-সঙ্কট কি মিটবে? পূর্ব ইউক্রেনে রাশিয়া ও ফ্রান্স যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ায় এমনই সম্ভাবনার কথা উঠে আসছে। জানা গিয়েছে, রবিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ প্রায় দু’ঘণ্টা ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন। উদ্ভুত পরিস্থিতির কূটনৈতিক সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতেও সম্মত হয়েছেন তাঁরা। মাকরঁ-এর অফিস থেকে জানানো হয়েছে, পুতিন বেলারুশ থেকে রাশিয়ান সেনা প্রত্যাহারের ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন।

তবে আমেরিকার আশঙ্কা, যে কোনও মুহূর্তে হামলা করতে পারে রাশিয়া। এই পরিস্থিতিতে সে দেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের জন্য দেশ ছাড়ার ফরমান জারি করা হয়েছে। একান্ত প্রয়োজনীয় না হলে, সে দেশে বসবাসকারী পড়ুয়া এবং ভারতীয় নাগরিকদের যত দ্রুত সম্ভব ইউক্রেন ছাড়তে বলা হয়েছে। তবে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জারি করা ফরমানে বলা হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব ইউক্রেন ছাড়তে। সে ক্ষেত্রে পড়ুয়ারা সংশ্লিষ্ট ‘কন্ট্রাক্টর’দের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেশে ফেরার তোড়জোড় শুরু করুক, এমনই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, টাটা গোষ্ঠীর এয়ার ইন্ডিয়া আগামী ২২, ২৪ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তিনটি বিশেষ বিমান চালাবে। ইউক্রেনের বৃহত্তম বিমানবন্দর বরিস্পিল থেকে ভারতীয়দের নিয়ে বিমান তিনটি ভারতে ফিরবে।
প্রসঙ্গত, এর আগেও একবার প়ড়ুয়াদের দেশে ফেরার জন্য পরামর্শ দিয়েছিল কিভের ভারতীয় দূতাবাস। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিদেশ মন্ত্রক ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম খুলেছে। সেখানে এই সংক্রান্ত যে কোনও প্রয়োজনে যোগাযোগ করা যেতে পারে।

অন্যদিকে ইউক্রেন নিয়ে আলোচনার জন্য যে কোনও সময় সাক্ষাৎ হতে পারে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের। আমেরিকার একটি টক শোয়ে এমনই জানিয়েছেন সেক্রেটারি অব স্টেটস অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

পূর্ব ইউক্রেনে সরকার পক্ষ এবং রাশিয়াপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্ঘর্ষ জারি রয়েছে। উদ্ভুত পরিস্থিতিতেমিনস্ক প্রোটোকল বাস্তবায়নে রাশিয়া, ইউক্রেন, ফ্রান্স এবং জার্মানির যে আলোচনা হওয়া উচিত, এ ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন পুতিন ও মাকরঁ। এই প্রোটোকলের মাধ্যমে ২০১৪ সালে পূর্ব ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছিল তারা। মাকরঁ-র অফিস থেকে আরও জানানো হয়, ইউরোপে নতুন করে শান্তি ও সুরক্ষার স্বার্থে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে সম্মত হয়েছে দু’দেশ।

অন্যদিকে হোয়াইট হাউস থেকে জানানো হয়েছে, ইউক্রেন সঙ্কট প্রশমনে যথেষ্ট উদ্যোগী বাইডেন। ইউক্রেন নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে যে কোনও মুহূর্তে আলোচনা করতে পারেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট।