কলকাতা ব্যুরো: ক্যাম্পাস, হস্টেল খোলা, সমস্ত ক্লাসের ফলপ্রকাশ-সহ একাধিক দাবিতে এবার পড়ুয়াদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। শুক্রবার সকালের দিকে বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় অফিসের সামনের গেট ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। তাঁরা সকলে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের সদস্য বলে দাবি পুলিশের। গেটের কাছে বিক্ষোভকারীদের আটকায় নিরাপত্তারক্ষীরা। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে ধুন্ধুমার বাধে। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রীদের একাংশের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ যেসব সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, তা পড়ুয়া বিরোধী। তাই তাঁদের দাবি, তিন বহিষ্কৃত ছাত্রছাত্রীকে পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ে যুক্ত করা হয়েছে, সেই সংক্রান্ত পরিষ্কার নোটিস দিতে হবে এবং অনৈতিক সাসপেনশনের সময়ে শিক্ষাজীবনে যা ক্ষতি হয়েছে, তা পূরণ করতে হবে। অবিলম্বে নিঃশর্তভাবে ক্যাম্পাস ও হস্টেল খুলতে হবে এবং কোভিড বিধি মেনে অফলাইন পঠনপাঠন শুরু করতে হবে। নির্বাচনভিত্তিক গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ চালু করতে হবে এবং কর্মসমিতি ও অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে ছাত্রছাত্রীদের প্রতিনিধিত্বের অধিকার দিতে হবে। আরও দাবি, অনলাইন পরীক্ষায় প্রযুক্তিগত সমস্যার জন্য যেসব ছাত্রছাত্রী আটকে গিয়েছেন, তাঁদের জন্য বিশেষ সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
দাবির তালিকা আরও দীর্ঘ। অবিলম্বে সমস্ত ক্লাসের রেজাল্ট প্রকাশ করতে হবে যাতে সকল ছাত্রছাত্রী স্কলারশিপ পুনর্নবীকরণের কাজ করতে এসবি ও যোগার স্নাতকোত্তর স্তরে ভর্তিতে ১০০% সংরক্ষণ চালু করতে হবে। অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া ছাত্রছাত্রীদের জন্য দ্রুত স্কলারশিপের ব্যবস্থা করতেই হবে।
ছাত্র নেতা সোমনাথ সৌ বলেন, এই উপাচার্য ছাত্রছাত্রীদের প্রতিবাদ বন্ধ করতে তাদের সাসপেন্ড এবং বহিষ্কার করার ভয় দেখাচ্ছেন। কর্মসমিতিতে আমাদের দাবি জানিয়ে চিঠি দিয়েছি। বিশ্বভারতী পড়ুয়াদের কথা ভাবছে না৷ তারা বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, যা ছাত্রছাত্রী বিরোধী।