কলকাতা ব্যুরো: দেশনায়কের ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনকে স্মরণীয় করে রাখতে একাধিক উদ্যোগ নিচ্ছে কেন্দ্র, রাজ্য। এছাড়া এ বছর দেশের ৭৫ তম স্বাধীনতা বর্ষও। তা নিয়ে বছরভর পালিত হবে ‘আজাদি কি অমৃত মহোৎসব’। জোড়া উদযাপন শুরু হচ্ছে ২৩ জানুয়ারি, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন থেকেই। তার ঠিক ২ দিন আগেই বড় ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দিল্লির ইন্ডিয়া গেটে বসছে নেতাজির সুদীর্ঘ গ্রানাইটের মূর্তি। যতদিন তা তৈরি না হয়, ততদিন পর্যন্ত থাকবে একটি ‘হলোগ্রাম স্ট্যাচু’।
শুক্রবার টুইট করে নিজেই এই বিশেষ উদ্যোগের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ১২৫ তম বর্ষে নেতাজির এই মূর্তি স্থাপন তাঁর প্রতি দেশবাসীর অফুরান ঋণ স্বীকারের প্রতীক হয়ে থাকবে, এমনই আশা তাঁর। ২৩ জানুয়ারি, নেতাজির জন্মদিনেই মূর্তি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। আপাতত ‘হলোগ্রাম স্ট্যাচু’র উদ্বোধন করা হবে কারণ, গ্রানাইটের মূর্তিটি সম্পূর্ণভাবে তৈরির আগে পর্যন্ত এই হলোগ্রাম স্ট্যাচুটাই থাকবে ইন্ডিয়া গেটে।
কেন্দ্রের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সবমহল। তবে সাধারণতন্ত্র দিবসে নেতাজির ট্য়াবলো নিয়ে বিতর্কের মাঝে মোদীর এই ঘোষণা নিয়ে সামান্য বিতর্কও তৈরি হয়েছে। বিশেষত এ রাজ্যের শাসকদল। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের প্রতিক্রিয়া, কেন্দ্রের উদ্যোগ ভালো। কিন্তু সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে তাকে সর্বান্তকরণে ভাল বলা যাচ্ছে না। এক্ষেত্রে কেন প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ থেকে বাংলার ট্যাবলো বাদ পড়ল, সেই প্রশ্ন আরও একবার উঠে যাচ্ছে।
এদিকে, শুক্রবারই দিল্লির ইন্ডিয়া গেটের কাছে ‘অমর জওয়ান জ্যোতি’ নিভতে চলেছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। ১৯৭১-এ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধজয়ের স্মারক হিসেবে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তৈরি হয়েছিল এই ‘অমর জওয়ান জ্যোতি’। এর ৫০ বছর পর শুক্রবার অর্থাৎ আজ সেই অনির্বাণ শিখাই নিভতে চলেছে।
তবে কেন্দ্রের বক্তব্য, ‘অমর জওয়ান জ্যোতি’র অগ্নিশিখাকে নেভানো হচ্ছে না। এটা শুধু ‘জাতীয় যুদ্ধ স্মারক’-এ মিশে যাচ্ছে। এর পাশাপাশি একই দিনে নেতাজির মূর্তিস্থাপনের ঘোষণা বিশেষ কোনও উদ্দেশে নয়তো? এই প্রশ্ন উঠছে।