কলকাতা ব্যুরো: টানা ৩ বছর পর ফের সুন্দরবনে শুরু হল বাঘ শুমারি ৷ সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের অন্তর্গত জঙ্গলের পর এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা বন বিভাগের অন্তর্গত জঙ্গল এলাকায় শুরু হলো ক্যামেরা বসানোর কাজ ৷ উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের সুন্দরবনের দু’টি অঞ্চল মিলিয়ে মোট ৯৭টি বাঘ ছিল ৷ এবছর ফের শুরু হল বাঘ শুমারির কাজ ৷
সম্প্রতি সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের অধীনের বনাঞ্চলে শুরু হয়েছিল ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানোর কাজ ৷ এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বন বিভাগের আওতাধীন সুন্দরবনের জঙ্গলে শুরু হয়েছে ক্যামেরা বসানোর কাজ ৷ রায়দিঘি রেঞ্জের চিতুরি বিট অফিসের অন্তর্গত হেড়োভাঙা-৮নং জঙ্গলে বুধবার ক্যামেরা বসানো হয়েছে ৷ বন দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১৬১ জোড়া ক্যামেরা বসানো হবে জঙ্গলের বিভিন্ন পয়েন্টে ৷
আগামী চার দিন ধরে মাতলা, রায়দিঘি, রামগঙ্গা রেঞ্জে চলবে এই কাজ ৷ আপাতত ১০০ জন বনকর্মী ৮টি দলে ভাগ হয়ে এই কাজ করছেন ৷ ক্যামেরা ট্র্যাপিংয়ের মাধ্যমে ছবি ওঠার পাশাপাশি জানা যাবে বাঘের অবস্থানও ৷ এই প্রক্রিয়া চলবে টানা ৩৫ দিন ধরে ৷ ৩৫ দিন পর জঙ্গল থেকে ক্যামেরাগুলি খুলে ফেলা হবে। প্রতিটি ছবি মিলিয়ে বাঘের গায়ের ডোরাকাটা দাগের ধরন দেখে প্রত্যেকটি বাঘকে আলাদাভাবে শনাক্ত করা হবে ৷ সেই মতো জানা যাবে বাঘের প্রকৃত সংখ্যা ৷ নিরাপত্তার কারণে ক্যামেরা বসানোর আগে জঙ্গলের গভীরে নির্বাচিত স্থানগুলিতে জাল লাগানো হলেও পরে তা খুলে দেওয়া হয়েছে ৷
মঙ্গলবার ক্যামেরা বসানোর সময় বিট অফিসে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভাগীয় বনাধিকারিক মিলন মণ্ডল, অতিরিক্ত বিভাগীয় বনাধিকারিক অনুরাগ চৌধুরী । মিলন মণ্ডল জানান, প্রাথমিক ভাবে রায়দিঘি রেঞ্জের কুলতলি বিটের হেড়োভাঙা জঙ্গলে ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানো হয়েছে ৷ আগামী ৪ দিনের মধ্যে বাকি জায়গাগুলিতেও ক্যামেরা বসানো হয়ে যাবে । ২০১৯ সালের বাঘ সুমারিতে দক্ষিণ ২৪ পরগনা বন বিভাগের জঙ্গলে মোট ২৭টি বাঘের সন্ধান মিলেছিল ৷ এর মধ্যে বাঘিনীর সংখ্যা ছিল ২০টি । এ বারের সুমারির পর সেই সংখ্যা বাড়তে পারে বলে মনে করছেন আধিকারিকরা ৷