কলকাতা ব্যুরো: বিধানসভা নির্বাচনের সময় কোচবিহারের শীতলকুচিতে গুলি চালানোর ঘটনায় রাজ্যকে তদন্তের কাজে সহযোগিতা করছেন না সিআইএসএফ আধিকারিকরা। এই মর্মে ফের কলকাতা হাইকোর্টে অভিযোগ জানালেন রাজ্যের আইনজীবী নীলোৎপল চট্টোপাধ্যায়। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, তদন্তের জন্য জিজ্ঞাসাবাদের নোটিস পাঠালেও নানা অজুহাতে তদন্ত এড়িয়ে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর আধিকারিকরা।
অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় সরকার ও সিআইএসএফ আধিকারিকদের তরফে অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল ওয়াই জে দস্তুর জনস্বার্থ মামলার প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরে বসে প্রকৃত তথ্য না জেনে আদালতকে বিভ্রান্ত করছেন মামলাকারী। মামলাকারীরা দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা আর ঘটনা ঘটেছে কোচবিহারে। এই মামলা না শুনে খারিজ করে দেওয়া উচিত আদালতের। এই ব্যাপারে কেন্দ্র সরকার হলফনামা দিয়ে আদালতে নিজেদের বক্তব্য জানাতে চায় বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রকে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশি মামলাকারীদের যদি অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেলের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কিছু আপত্তি থাকে, সেটাও ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে।
এই বিষয়ে মামলাকারীদের তরফের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, বিধানসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফায় যেভাবে গুলি চলেছিল তাতে নির্বাচনের পরবর্তী ধাপগুলো ভীষণভাবেই প্রভাবিত হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করেছে এই ঘটনা। এই কারণেই এই ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি জানাচ্ছি আমরা।
উল্লেখ্য, গত বিধানসভা নির্বাচনে চতুর্থ দফার ভোটে শীতলকুচির একটি বুথে সিআইএসএফের গুলিতে চারজনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনার তদন্ত চেয়ে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি ও মৃতদের ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। এই ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্ট সিআইডির হাতে তদন্ত ভার তুলে দেয়। সিআইডি এর আগে কলকাতা হাইকোর্টে প্রাথমিকভাবে রিপোর্ট দিয়ে আগেই জানিয়েছিল, সিআইএসএফ আধিকারিকরা তদন্তকারীদের সঙ্গে সহযোগিতা করছেন না।