কলকাতা ব্যুরো: রাজ্যে করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। এই পরিস্থিতিতে এবার গঙ্গাসাগর মেলা বন্ধের দাবিতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। সোমবার এই মর্মে কড়া পদক্ষেপ চেয়ে আদলতের দ্বারস্থ হয়েছেন পেশায় চিকিৎসক অভিনন্দন মণ্ডল। কোনওভাবেই যাতে সাগরে পুণ্যার্থীরা জলে না নামেন তাও নিশ্চিত করার আবেদন জানানো হয়েছে এই মামলায়।

মামলাকারী অভিনন্দন মণ্ডলের বক্তব্য, ‘প্রায় ৩০ লাখ মানুষ প্রতিবছর গঙ্গাসাগর মেলায় পুণ্যস্নানে অংশ নেন। কোভিড পরিস্থিতিতে এই বিপুল পরিমাণ জনসমাগমে জনস্বাস্থ্য যে ব্যাহত হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।’ আবেদনকারী আরও বলেন, ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় রাজ্যের মানুষ চরম দুর্গতি সম্মুখীন হয়েছিলেন। আমি নিজে চিকিৎসক, তাই চাই না একইভাবে সাগর মেলার জনস্রোতের জেরে রাজ্যে পুনরায় তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ে।’ মামলাকারীর আইনজীবী সূর্যনীল দাস জানান, আগামী ৫ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

অন্যদিকে, এবার কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় সিনেপ্রেমীরা। পিছিয়ে গেল উৎসবের সাংবাদিক বৈঠকও। রবিবার অর্থাৎ ২ জানুয়ারি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের প্রথম সাংবাদিক বৈঠকটি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, সেটি বাতিল হয়েছে। পরবর্তী দিন হিসেবে ধার্য করা হয়েছে ৪ জানুয়ারি। ওই দিন শিশির মঞ্চে সাংবাদিক বৈঠক করবে ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল কর্তৃপক্ষ। এই পরিস্থিতিতে চলচ্চিত্র উৎসব নিয়ে অনিশ্চয়তার ছায়া তৈরি হয়েছে।

ফের একবার কলকাতা বইমেলার আয়োজন নিয়ে অশনিসংকেত। রাজ্যে কোভিডের কঠোর বিধিনিষেধ জারি হতেই আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা ঘিরে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। যদিও নিজেদের সমস্ত রকম প্রস্তুতি সেরে রেখেছে গিল্ড কর্তৃপক্ষ। বইমেলার আয়োজন নিয়ে তারা সম্পূর্ণ আশাবাদী। কিন্তু, ঊর্ধ্বমুখী কোভিড গ্রাফ এবং ওমিক্রনের চোখরাঙানির মধ্যে মেলার ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দিহান বইপ্রেমীরা। বইমেলার আয়োজন নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘শুধু বইমেলা কেন, কোনও মেলা আয়োজনের ক্ষেত্রেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি। ফলে আমরা মেলার সম্পূর্ণ প্রস্তুতি সেরে ফেলেছি। আশা রাখাছি যথাসময়েই মেলা হবে।’