কলকাতা ব্যুরো: বছর শেষ হতে চলল। আর সেই কারণে উৎসবে মেতেছে বাঙালি। কিন্তু কড়া পাহাড়ায় রয়েছে পুলিশও। বর্ষবরণের আগে বড়সড় সাফল্য পেলো নিমতা থানার পুলিশ। দু’জন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে তারা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে,ওই দু’জন কুখ্যাত দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে তারা। ধৃতদের কাছ থেকে ৭টি মোটর বাইক ও একটি চার চাকা গাড়ি উদ্ধার হয়েছে। জানা গিয়েছ, ওই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে চুরি হচ্ছিল বাইক, গাড়ি। যার কারণে রীতিমত অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল এলাকাবাসী। পুলিশের কাছেও একাধিকবার অভিযোগ আসে। এরপরই নড়েচড়ে বসে নিমতা থানা।
পুলিশ সূত্রে খবর, চলতি মাসের ১৬ তারিখ নিমতা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়। সেই অভিযোগের তদন্তে নেমে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নিমতার ফতুল্লাপুর থেকে শেখ তাজউদ্দিন ওরফে বড়ি নামে একজনকে গ্রেফতার করে নিমতা থানার পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে হুগলির শ্রীরামপুরের বাসিন্দা প্রকাশ কিশোরী নামে আরও এক দুস্কৃতীকে গ্রেফতার করে নিমতা থানার পুলিশ।
সূত্রের আরও খবর, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ৭টি মোটর বাইক ও একটি চার চাকা গাড়ি উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও ধৃত প্রকাশ কিশোরীর কাছ থেকে নিষিদ্ধ মাদক কোডাইন মিক্সচার বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে উদ্ধার হওয়া বাইক ও গাড়ি তাঁদের মালিককে ফেরত দেওয়া হবে। তবে তা কিছুটা সময় সাপেক্ষ।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ ডিসেম্বর নোয়াপাড়াতেও আগ্নেয়াস্ত্র-সহ পাকড়াও হয় দুই দুষ্কৃতী। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, ইছাপুর মায়াপল্লি এলাকায় হানা দিয়ে নোয়াপাড়া থানার পুলিশ দুই দুষ্কৃতীকে গ্ৰেফতার করেছে। ধৃতদের নাম রকি দাস ও অনয় দে। পুলিশ ধৃতদের কাছ থেকে দুই রাউন্ড কার্তুজ-সহ একটি সেভেন এম এম পিস্তল উদ্ধার করেছে। পুলিশ সূত্রের খবর, ডাকাতির অনয় এবং রকির দলবল জড় হয়েছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, পুলিশ তাদের ঘিরে ফেলে এবং হাতেনাতে দুইজনকে ধরে ফেলে। বাকিরা পালিয়ে যায়। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালায় নোয়াপাড়া থানার পুলিশ।