কলকাতা ব্যুরো: লালবাড়ির লড়াইয়ের ফল কী হবে? মঙ্গলবার সকাল থেকে সেই বিষয়ে নজর থাকবে শহর, রাজ্য ছড়িয়ে গোটা দেশেরও। বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জয় তৃণমূলের আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়িয়েছে। সেই ধারা বজায় রেখেই কি পুরভোটেও বাজিমাত করবে ঘাসফুল শিবির? আরমাত্র কিছু সময়ের অপেক্ষা। তাঁর পরই নির্ধারিত হয়ে যাবে কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের ভবিষ্যৎ ভাগ্য।

কলকাতার ১১টি কেন্দ্রে মঙ্গলবার সকাল থেকেই কড়া নিরাপত্তার মধ্যে গণনা শুরু হবে। তবে তৃণমূল কংগ্রেস যে পুনরায় কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন তাদের দখলে রাখতে চলেছে ভোট শেষে একাধিক বুথ ফেরত সমীক্ষায় মোটামুটি তা পরিষ্কার। অন্যদিকে সোমবারই কলকাতা পুলিশকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দিতে কড়া নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। পাশাপাশি গণনা কেন্দ্রের সামনেও ১৪৪ ধারা জারি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷

মোট ১১টি গণনা কেন্দ্রে ভোট গণনা হবে। দেখে নেওয়া যাক কোন বরোর গণনা কোন কেন্দ্রে হবে?
রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়- ১ ও ২ নম্বর বরো
নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম- ৩, ৪, ৫ ও ৬ বরো
গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম- ৭ ও ১২ বরো
বালিগঞ্জ ডেভিড হেয়ার ট্রেনিং কলেজ- ৮ বরো
ইনস্টিটিউট অফ ফিজিক্যাল এডুকেশন ফর ওম্যান, হেস্টিংস হাউস- ৯ বরো
যোধপুর পার্ক বয়েজ-১০ বরো
যোধপুর পার্ক গার্লস-১১ বরো
বরিশা হাই স্কুল-১৩ বরো
ঠাকুরপুকুর বিবেকানন্দ কলেজ-১৪ বরো
সিস্টার নিবেদিতা গভর্মেন্ট ডিগ্রী কলেজ, জাজেস কোর্ট, হেস্টিংস হাউস- ১৫ বরো
ব্রতচারী বৃদ্ধাশ্রম, জোকা-১৬ বরো।
কোথাও বোমাবাজি, কোথাও বুথের ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর, কোথাও বিরোধী প্রার্থীদের মারধর, পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ। কোথাও আবার উঠেছে ভুয়ো ভোটারের অভিযোগ। এমনই নানা বিভিন্ন ঘটনার মধ্যে দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে রবিবাসরীয় কলকাতা পুরসভা নির্বাচন। ভোট শুরু হতেই একাধিক জায়গা থেকে অশান্তির খবর উঠে এসেছে। তবে ভোটপর্ব মিটতেই নির্বাচন কমিশন স্পষ্টতই জানিয়ে দিয়েছে, মোটের উপর শান্তিপূর্ণভাবেই সম্পন্ন হয়েছে নির্বাচন।

এছাড়া বিরোধীরা ছাপ্পার অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হলেও সেই অভিযোগ ধোপে টেকেনি। তারপর শহর কলকাতার একাধিক জায়গায় নির্বাচনে স্বচ্ছতা ও রাজ্যে গণতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে রবিবার থেকেই সরব হয়েছে। যার প্রভাব সোমবারও শহরের বিভিন্ন প্রান্তে দেখা গিয়েছে।