কলকাতা ব্যুরো: কলকাতায় এতো নিরুত্তাপ নির্বাচন আগে দেখিনি ৷ রবিবার কলকাতা পুরভোটে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগের পর এমনই দাবিই করলেন ১১ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অতীন ঘোষ ৷ এদিন তিনি বলেন, কলকাকাতা পুরনিগমের ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে সিংহভাগ আসনেই জিতবেন তৃণমূল প্রার্থীরা ৷ এই ভোটের থেকে করোনা মহামারি মোকাবিলার লড়াই আরও শক্ত ছিল ৷

পাশাপাশি পুরভোটে অশান্তি প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, দু-একটা বুথের ঘটনা দিয়ে ১৪৪টি ওয়ার্ডের ভোট প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলা ঠিক নয় ৷ ত্রিপুরায় বিজেপি কী করেছিল সবাই দেখেছে ৷ এখানে বহু বুথে বিজেপি এজেন্টই দিতে পারেনি, কিন্তু বাম, কংগ্রেসের এজেন্টরা বসেছেন ৷
এছাড়াও এদিন সপরিবারে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেন ফিরহাদ হাকিম। ভোট দিয়ে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। মানুষ বিজেপিকে পুরোপুরি অস্বীকার করেছে বলেও এদিন দাবি করেন তিনি। ফিরহাদ জানান, আজকের ভোট অত্যন্ত সুষ্ঠু ভাবে হচ্ছে।
ফিরহাদের আরও অভিযোগ, বিজেপি আইন ভাঙছে বলেই সমস্যা তৈরি হচ্ছে। সাধারণ মানুষ শান্তিতে ভোট দিচ্ছেন। বিজেপি বুঝে গিয়েছে তাদের হার নিশ্চিত। বুথে এজেন্ট দেওয়ার ক্ষমতা নেই। কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে নম্বর ধরে রাখার জন্যই রাজ্যের বিজেপি নেতারা কেন্দ্রীয় বাহিনী-কেন্দ্রীয় বাহিনী করছে বলেও এ দিন দাবি করেন ফিরহাদ।

মেয়ে ও স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে এদিন ভোট দিতে যান ৮৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দেবাশিস কুমারও।

পুত্রকে সঙ্গে নিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন খড়দার বিধায়ক তথা কৃষি মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ও। তিনি জানান, প্রায় ১৯৬২ থেকে রাজনীতিতে নেমেছি, এরকম বিরোধীশূন্য নির্বাচন কখনও দেখিনি।

পাশাপাশি একুশের কলকাতা পুরভোটে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকায় সন্তুষ্ট তৃণমূল বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ৷ তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন এবার খুব সিরিয়াস ৷