কলকাতা ব্যুরো: ভোটের আগে থেকেই সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছিল বিরোধীরা। আর রবিবার পুরভোটের দিন ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে শাসকদলের বিরুদ্ধে বুথ দখল করে দেদার ছাপ্পা দেওয়ার অভিযোগে বড়তলা থানা ঘেরাও করলো কংগ্রেস, সিপিএম এবং বিজেপি। পুলিশের মদতে শাসকদলের রিগিংয়ের বিরুদ্ধে ভিন মেরুর তিন রাজনৈতিক দলের একসারিতে থানার সামনে ঘেরাও-অবস্থান বেশ ব্যতিক্রমী ঘটনা।
বিরোধীদের অভিযোগ, তাদের এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেওয়া হয়েছে। এরপর ফাঁকা বুথে একতরফা ভোট দিয়েছে তৃণমূল। এমনকী সাধারণ ভোটারদেরও ভোটদানের সুযোগ দেয়নি। কাউকে কাউকে গলাধাক্কা দিয়ে লাইন থেকে সরিয়ে দেয় তৃণমূলের বাহিনী। অভিযোগ, শনিবার রাত থেকেই এলাকায় ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে রাখা হয়। রবিবার সকাল থেকেই বিরোধী এজেন্টদের ভয় দেখিয়ে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ভয়ভীতিতে যাঁদের সরানো যায়নি, তাঁদের মারধর করে বের করা হয়।
বেলা বাড়তেই বিরোধীরা বড়তলা থানার সামনে বসে পড়েন। তাঁদের অভিযোগ, পুলিস প্রত্যক্ষভাবে শাসকদলকে মদত দিচ্ছে। পুলিসের চোখের সামনেই বুথ দখলের অভিযোগ তোলেন তাঁরা। পুলিস সবকিছু দেখেও হাত গুটিয়ে বসে রয়েছে। অবাধে ছাপ্পা চলছে দেখেও পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলেন তাঁরা। ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী মৌমিতা কালীর অভিযোগ, পুলিসকে বারবার বলা সত্ত্বেও তারা তৃণমূল কর্মীদের আটকাচ্ছে না। উলটে বিরোধী সমর্থকদের বাধা দিচ্ছে। এর প্রতিবাদেই থানা ঘেরাওয়ে বসে পড়েন কংগ্রেস, সিপিএম এবং বিজেপির প্রার্থীরা।
১৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী মোহনকুমার গুপ্ত। বিরোধীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে অবশ্য শাসকদলের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে, মৌমিতা কালী, সিপিএম প্রার্থী মতিলাল ঘোষ ও বিজেপির পারমিতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ওয়ার্ডের ভোট বাতিলের দাবি তোলেন। যতক্ষণ না পুলিস এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবে, ততক্ষণ ঘেরাও চালিয়ে যাবেন তাঁরা।