কলকাতা ব্যুরো: পেগাসাস কাণ্ডে রাজ্যের গঠিত তদন্ত কমিশনের যাবতীয় কাজের উপর স্থগিতাদেশ জারি করলো সুপ্রিম কোর্ট। আপাতত পেগাসাস কাণ্ডে কোনও তদন্ত করতে পারবে না কমিশন। সেইসঙ্গে শীর্ষ আদালত যখন পেগাসাস নিয়ে তদন্তের জন্য কমিটি গঠন করেছে, তখন কেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের গঠিত কমিশন তদন্ত চালিয়ে যাবে? তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি এন ভি রামান্না।
মামলাকারী তথা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা গ্লোবাল ভিলেজ ফাউন্ডেশন চ্যারিটেবল ট্রাস্টের আইনজীবী হরিশ সালভে জানান, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের গঠিত কমিশনের কাজকর্মের বিরোধিতা করছেন। যে সংস্থার তরফে দাবি করা হয়, পেগাসাসকাণ্ডে সুপ্রিম কোর্ট কমিশন গঠন করলেও তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে লকুর কমিশন।
গত জুলাইয়ে কমিশন গঠন করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কমিশনে আছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি (অবসরপ্রাপ্ত) এমবি লকুর এবং কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি (অবসরপ্রাপ্ত) জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য। সেইসময় মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, পশ্চিমবঙ্গে ‘মোবাইল ফোনের অবৈধ হ্যাকিং বা ট্র্যাকিং বা রেকর্ডিং’ নিয়ে তদন্ত করবে কমিশন।
ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দায়ের করা মামলার শুনানিতে শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির কাছে প্রধান বিচারপতি জানতে চান, তিনি মৌখিকভাবে যে জানিয়েছিলেন, বিষয়টি নিয়ে আর এগিয়ে যাবে না পশ্চিমবঙ্গ সরকার, সেটার কী হল? প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এটা কী? আগেরবার আপনি অঙ্গীকার করেছিলেন। আমরা রেকর্ড করতে চেয়েছিলাম। আমি বলেছিলেন যে রেকর্ড না করতে। আবার আপনারা তদন্ত শুরু করেছেন?’
প্রত্যুত্তরে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আইনজীবী বলেন, ‘আমি বলেছিলাম যে আমি কমিশনকে নিয়ন্ত্রণ করি না। আমি বিধিনিষেধের বিষয়ে কমিশনকে জানিয়ে দেব। আমি জানিয়েছি। কমিশন (কাজ) শুরু করেছে। দয়া করে ওদের আইনজীবীকে ফোন করুন এবং রায় দিয়ে দিন। রাজ্য হিসেবে আমি কমিশনকে বাধা দিতে পারি না।’ সেই পরিপ্রেক্ষিতে আদালত অবমাননার অভিযোগ তোলা হয়। বিষয়টি দেখা হবে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেইসঙ্গে মামলার সবপক্ষকে নোটিশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ।