কলকাতা ব্যুরো: চারদিনের সফরে দিল্লিতে উড়ে গেলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার রওনা দেওয়ার আগে দমদম বিমানবন্দর দাঁড়িয়ে ত্রিপুরায় সায়নী ঘোষের গ্রেফতারির তীব্র নিন্দা করলেন তিনি। মমতার কথায়, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির গণতন্ত্রের কঙ্কাল বেরিয়ে পড়ছে। অত্যাচারের পর অত্যাচার চলছে। বিজেপিশাসিত রাজ্যে ভোট হয় না। একই সঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, এখন মানবাধিকার কমিশন কোথায় গেল?

চলতি মাসের শেষেই ত্রিপুরায় পুরভোট। তার আগেই বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তপ্ত উত্তর-পূর্বের রাজ্য। ত্রিপুরায় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের উপর হামলা ও গ্রেফতারির বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নজরে আনবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সে কথা জানালেন নিজেই। পাশাপাশি বললেন, ত্রিপুরায় বারবার আক্রান্ত হচ্ছে তৃণমূল। সায়নীর মতো শিল্পীকেও ছাড়ল না। থানাতেও হামলা চালিয়েছে বিজেপি। আমার সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে।
এদিকে সায়নী ঘোষকে গ্রেফতারির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন তৃণমূল। তিনি সময় না দেওয়ায় নর্থ ব্লকে ধরনা দিচ্ছেন তৃণমূল সাংসদেরা। দিল্লি পৌঁছে তাঁদের সঙ্গে দেখা করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো। যদিও সাংসদদের সঙ্গে ধরনায় বসবেন না বলেও স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, কাল রাতেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে ধর্না দেবেন বলেছিলেন সাংসদেরা। আমি বারন করেছি। কারোর বাড়ির সামনে যাওয়ার দরকার নেই। আমি গিয়ে আজ দেখা করব ওদের সঙ্গে।

এবারের দিল্লি সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। সেই সাক্ষাতে রাজ্যে বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধি নিয়ে সরব হবেন বলেও জানালেন মমতা। এই ইস্যুতেও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মমতা। তাঁর কথায়, বিএসএফ আমাদের বন্ধু। কিন্তু গণতান্ত্রিক কাঠামো নষ্ট করে রাজ্যে বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধি মেনে নেওয়া যায় না। বিএসএফ তো সেফ বিজেপি হয়ে যাচ্ছে।