কলকাতা ব্যুরো: অবশেষে খান পরিবারে এলো স্বস্তি। শনিবার সামনে এলো আরিয়ান খানের জামিনের অর্ডার। মাদক চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার কোনও অভিযোগ নেই আরিয়ান খান, আরবাজ মার্চেন্ট এবং মুনমুন ধামেচার বিরুদ্ধে। শনিবার বম্বে হাইকোর্ট-এর অর্ডার সামনে এলো। আদালতের বয়ানে আরিয়ান, আরবাজ এবং মুনমুন-এর মধ্যে ড্রাগস নেওয়া অথবা কেনা বেচা নিয়ে কোনও হোয়াটস অ্যাপ চ্যাটের প্রমাণও পাওয়া যায়নি।

হাইকোর্টের অর্ডারে বলা হয়েছে, এমন কোনও পাকাপোক্ত প্রমাণ নেই যা দেখে আদালত নিশ্চিত হতে পারে অভিযুক্তরা কোনও রকম বেআইনি কাজের সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন। শুধুমাত্র ওই ক্রুজে তল্লাশির সময়ে আরিয়ান, আরবাজ এবং মুনমুন ছিলেন মানেই তাঁদের বিরুদ্ধে মাদক যোগের অভিযোগ আনা যায় না।’ এই যুক্তির ভিত্তিতেই তিন জনের জামিন মঞ্জুর করা হয়।
তবে এখানেই শেষ নয়। আদালতের স্পষ্ট মত, তদন্তকারী আধিকারিকের কাছে যে বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে তার ভিত্তিতে মামলা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে না নার্কোটিকস কনট্রোল ব্যুরো।

বিচারপতি জানিয়েছেন, ষড়যন্ত্রের অভিযোগের ভিত্তি হিসেবে আবেদনকারীদের কাছে কোনও মাদক ছিল কিনা, তা আদালতকে খতিয়ে দেখতে হবে। সেখানে আরিয়ানের থেকে কোনও মাদক উদ্ধার হয়নি। আরবাজ এবং মুনমুনের থেকে যে মাদক উদ্ধার করা হয়েছে, তা মাদক আইন অনুযায়ী ‘কম’। সেই পরিস্থিতিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের ধারা প্রয়োগ করতে ‘ইতিবাচক প্রমাণ’ লাগবে। যা থেকে বোঝা যাবে যে বেআইনি কাজ করতে কোনওরকম চুক্তি হয়েছে বা আরিয়ান, আরবাজ এবং মুনমুনের মধ্যে কোনও বিষয় নির্ধারিত হয়েছে। কিন্তু প্রাথমিকভাবে তেমন কোনও বিষয় মেলেনি। আপাতত যা তদন্ত হয়েছে, তা থেকে উঠে এসেছে যে মুনমুনের সঙ্গে যাননি আরিয়ান এবং আরবাজ।
পাশাপাশি আরিয়ানের হোয়্যাটসঅ্যাপ চ্যাটেও কোনও ষড়যন্ত্রের প্রমাণ মেলেনি বলে জামিনের রায়ে জানিয়েছে হাইকোর্ট। রায়ে জানানো হয়েছে, শাহরুখ খানের পুত্রের ফোন থেকে হোয়্যাটসঅ্যাপ চ্যাট পাওয়া গিয়েছে, তা খুঁটিয়ে দেখার পর এমন কোনও প্রমাণ মেলেনি, যা থেকে ইঙ্গিত পাওযা যায় যে আরিয়ান এবং আরবাজ বা আরিয়ান, আরবাজ এবং মুনমুন বা অন্য অভিযুক্তদের সঙ্গে কোনও ষড়যন্ত্র তৈরি করা হয়েছিল। যেহেতু ষড়যন্ত্রের কোনও প্রমাণ মেলেনি, তাই ৩৭ ধারায় জামিনের কঠোর নিয়ম কার্যকর হবে না। সেইসঙ্গে হাইকোর্ট জানিয়েছে, অভিযুক্তদের স্বীকারোক্তি হিসেবে যে দাবি করেছিল এনসিবি, তুফান সিং বনাম তামিলনাড়ু সরকার মামলায় সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে তার কোনও মূল্য নেই।

তবে ছেলে বাড়ি ফিরে আসার পর থেকেই অত্যন্ত সাবধানী হয়ে উঠেছেন শাহরুখ-গৌরী। শোনা যাচ্ছে, শাহরুখ-গৌরীর দু’জনেই বেশি করে সময় কাটাচ্ছেন আরিয়ানের সঙ্গে। শুধু তাই নয়, আরিয়ানের নিরাপত্তার বিষয়ে বাড়তি সচেতন হয়ে উঠেছেন খান দম্পতি। তাই আরিয়ানের জন্যে দেহরক্ষী খঁজছেন তাঁরা।
সূত্রের খবর, আরিয়ানের বডিগার্ড হওয়ার জন্য এমন কাউকে খুঁজছেন, যাঁর দীর্ঘদিন ধরেই সেলিব্রটি ও নাইটক্লাবে নিরাপত্তার অভিজ্ঞতা রয়েছে। এই খবর চাউর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শাহরুখের রেড চিলিসের অফিসের হাজারো আবেদনকারীর অ্যপ্লিকেশন ইতিমধ্যেই পাঠিয়ে দিয়েছে মুম্বইয়ের নামী সিকিউরিটি এজেন্সিরা। তবে তাদের মধ্যে থেকে এখনও কাউকে এখন পর্যন্ত নির্বাচন করা হয়নি বলে খবর।

এই মুহূর্তে শাহরুখ খানের দেহরক্ষী রবি সিং-কে দেখা যাচ্ছে আরিয়ানের সঙ্গে। প্রতি শুক্রবার এনসিবির অফিসে রবিকে দেখা গিয়েছে আরিয়ানের সঙ্গে। শোনা যাচ্ছে, রবির মতোই কাউকে আরিয়ানের জন্য চাইছেন তাঁর অভিভাবকরা।
খুব শীঘ্রই পাঠানের শ্যুটিং শুরু করবেন কিং খান। তার জন্য বেশ কিছুদিন শহরের বাইরের যেতে হবে তাঁকে। তাই ছেলের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতেই এই খোঁজ চালাচ্ছেন তিনি।