কলকাতা ব্যুরো: পুলিশি টহল চলাকালীন মোটর সাইকেল থেকে উদ্ধার হলো দুই কিশোরী। তাদের হাত বাঁধা অবস্থায় মোটরবাইকের মধ্যে থেকে উদ্ধারের পর তিলজলা থানায় নিয়ে আসে ট্রাফিক পুলিশ। গ্রেপ্তার হয়েছে বাইক আরোহীকে। তবে ঠিক কী কারণে, কে বা কারা কিশোরীদের এভাবে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল, তা নিয়ে এখনও সন্দিগ্ধ তদন্তকারীরা।
প্রাথমিক অনুমান, দুই কিশোরীকে তুলে নিয়ে পাচারের ছক ছিল দুষ্কৃতীদের। পুলিশের তৎপরতায় সেই ষড়যন্ত্র বানচাল হয়ে গিয়েছে। গোটা বিষয়টির তদন্তে নেমেছে তিলজলা থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার সকাল ১১টা নাগাদ ইএম বাইপাসে টহল দিচ্ছিল তিলজলা থানার পুলিশ। আচমকাই তাঁদের নজরে আসে, একটি মোটর সাইকেল দুই কিশোরীকে নিয়ে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছে। গাড়ির অভিমুখ ছিল বারুইপুরের দিকে। পিছনে বসা কিশোরীদের হাত নাইলনের দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিল। এতেই পুলিশের সন্দেহ হয়। তিলজলা ট্রাফিক গার্ডের ওসি শৌভিক চক্রবর্তীর তৎপরতায় বাইকটির পিছু ধাওয়া করে পুলিশ। বাইপাসের উপর পঞ্চান্নগ্রাম ক্রসিংয়ের কাছে মোটর সাইকেলটি আটকানো হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ১২ ও ১৩ বছরের দুই কিশোরী গিয়েছিল ট্যাংরায় তাদের দিদার বাড়ি। সেখান থেকে ফেরার পথে দিনেদুপুরেই বিপদের মুখে পড়ে তারা। তাদের হাত বেঁধে মোটর সাইকেলে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। যখন পুলিশ তাদের উদ্ধার করে, সেসময় দু’জনই কান্নায় ভেঙে পড়ে। টেনশন, শারীরিক কষ্টে দুই কিশোরী বেশ অসুস্থ। পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে তাদের জল দিয়ে প্রাথমিকভাবে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরায়। গ্রেপ্তার করা হয় মোটর সাইকেল আরোহী মহম্মদ শাইতাব নামে যুবককে। দুই কিশোরীকে বাইকে তুলে চম্পট দেওয়ার চেষ্টা করছিল সে।
এরপর তিলজলা থানার এসআই-এর হাতে তুলে দেওয়া হয় দুজনকে। তিনি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছেন। কিশোরীদের বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে খবর। গোটা অপারেশনে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিলজলা ট্রাফিক গার্ডের ওসি শৌভিক চক্রবর্তী। ধৃত শাইতাবের এই কাজের পিছনে আর কাদের মদত রয়েছে, তার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। প্রাথমিক অনুমান, এর পিছনে পাচারচক্রের হাত আছে।